নিলয় স্পোর্টস রিপোর্টার :
আঁতুড়ঘরের সাথে হুবুহু সামঞ্জস্যতার রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। সম্প্রতি জাতীয় দলের নানাবিধ কর্মকান্ড তাই প্রমাণ করে। সন্তান জন্ম হওয়ার পর কয়েকদিন প্রসূতি মায়ের অস্পৃশ্যতা ও অশুচিকালীন অবস্থাই হচ্ছে আঁতুড়। বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্স অনেকটাই তেমন। আবার নবজাতকের মাকে আঁতুড় ঘর নামক একটি পৃথক ঘরে বাস করতে হয়। পরিবারের অল্প কয়েকজন নির্দিষ্ট সদস্য ছাড়া অন্য কেউ ওই ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপ পরবর্তী ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় জাতীয় দল যেনো নতুন প্রসূতি মায়ের মতো আলাদা আঁতুড়ঘরে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। এমন দুর্দান্ত এক জয়ে জাতীয়দলের উপর বয়ে যাওয়া ঝড় থেমে যায় নিমিষেই। তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সে জয়ের আনন্দ। কারণ ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাজে ভাবে হেরে আবারও সমালোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেটদল। অথচ বিশ্বকাপে ভালো ফলাফলের আশায় এ টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বে সংবাদ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহে নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এমনকি ক্রিকেটারদের ও সংবাদমাধ্যম এরিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা ছিলো কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। উদ্দেশ্যে একটায় ভারত বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখবে টাইগাররা। বর্তমানে টাইগারদের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স হতাশায় ডুবাচ্ছে কোটি ক্রিকেট প্রেমী সমর্থকদের। তাই লিটন-শান্তদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না এমন বিশ্বাস ক্রিকেট বোদ্ধাদেরও।
তার একটা বড় কারণ বড় টুর্নামেন্টে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট। এ ধরণের এক্সপেরিমেন্ট বাংলাদেশ জাতীয় দল ব্যতীত অন্য দলগুলোতে খুব একটা দেখা যায় না। কখনো নতুন খেলোয়াড়দের বড় ম্যাচগুলোতে হুট করে একাদশে যুক্ত করা, আবার কখনো ব্যাটারদের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করা। জাতীয় দলের কোন ব্যাটার নিশ্চিত ভাবে জানেন না তার পজিশন কত নম্বরে। ম্যাচ হেরে আবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মনগড়া ব্যাখা। এমন খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত দেখা যায় শুধু লাল-সবুজ জার্সি পড়া খেলোয়াড়দের মধ্যেই।
মেহেদী হাসান মিরাজ বাংলাদেশ দলের অন্যতম অলরাউন্ডার দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে খেলে আসছেন অথচ তিনি জানেন না তার পজিশন কত নম্বরে। কখনো ওপেনিংয়ে কখনো তিনে কখনো বা লোয়ার অর্ডারে। নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন খেলানোর জন্য জায়গা ছেড়েছেন কাপ্তান সাকিব আল হাসান। সেখানেও এখন অনিয়মিত শান্ত। তাই ব্যাটেও দেখা মিলছে না রানের। আরেক তরুণ ক্রিকেটার তোহিদ হৃদয় এমনকি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। এভাবে সার্কাজম দেখা যায় জাতীয় দলে। তবে ফলাফল জিরো। এ ধরণের সিদ্ধান্ত শুধু সমর্থকদের হতাশ করছে না পিছিয়ে দিচ্ছে দেশের ক্রিকেটকেও৷ এমন সিদ্ধান্তের জন্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দায়ী করছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে এর পিছনে সাকিব নাকি অন্য কেউ দায়ী সেটা বের হবে কোন একদিন ততদিনে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
Discussion about this post