মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
প্রধান শিক্ষকের অফিসে কক্ষে বসেই ধূমপান করেন জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের বুখুঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। অফিসে ধূমপানের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সরকার ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০১৩) প্রণয়ন করলেও বুখুঞ্জা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ্যেই নিজের অফিসে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সামনে ধূমপান করেন। তার ধূমপানের কারণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসী বিব্রত হলেও কোনো কথা বলার সাহস দেখান না। আর ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণও ধূমপানে বাধা দিতে পারেন না তাকে।
এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার অফিসে বসে সবার সামনে ধূমপান করেন। আমরা তাকে কিছুই বলতে পারি না। জাহাঙ্গীর আলম এর জন্য অধূমপায়ী শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত অস্ততিকর।
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সেখানে একজন প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকাণ্ডে তিনি তার শিক্ষকতার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলছেন। এমন কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ বিব্রত হয়েছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এর তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য হাফেজ ফকির জানান, শুধু প্রকাশ্যে ধূমপান নয়। তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে আমরা জমিদাতা সদস্য সহ এলাকাবাসী বিব্রত। আমরা যখন কোন মিটিং এ বসি, তখন তিনি আমাদের সামনে বিদ্যালয়ের অফিসে বসেই প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। তার বিভিন্ন ধরণের কর্মকান্ডের কারণে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। উনার দ্রুত অপসারণ ও প্রকাশ্যে ধূমপান করার জন্য উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।
এ ব্যপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষেধ। প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম যদি প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকেন,তাহলে কাজ টি সঠিক করেন নি। বিষয় টি আমি দেখছি৷ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এর মুঠোফোন (০১৭২১-৫৭৪৯২৮) নাম্বারে যোগাযোগ করা তিনি ফোন রিসিভড করেন পরে ফোন দেওয়ার কথা বলে আর দেন নি।
Discussion about this post