সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
বুধবার দুপুরে বিক্ষোভের সময় নারী কয়েক গ্রামের নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিনের প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে। এসময় সড়কের দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে মহাসড়কে এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করে সংযোগ বিচ্ছিনে নামে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকায় রতনপুর, ভবনাথপুর, পিরোজপুর, জিয়ানগর, ভাটিবন্দও গ্রামের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধা দিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে তিতাস কর্তৃপক্ষকে বাঁধা দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসে দু’পাশের সড়ক বন্ধ কর দেয়।
খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তা না শুনে দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। মহাসড়ক অবরোধের ফলে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
রতনপুর গ্রামের গৃহবধু আছিয়া বেগম বলেন, আমরা টাকার বিনিময়ে গ্যাস সংযোগ নিয়েছি। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হলে আমাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। টাকা ফেরত না দিয়ে গ্যাস সংযোগ কাটতে দিবো না। আমাদের দাবী আদায় না হলে মহাসড়ক অবরোধ থাকবে।
পিরোজপুর গ্রামের শাহ আলম বলেন, আমাদের গ্যাস সংযোগ বৈধ করে দেওয়ার কথা বলেই আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তবে এখন কেন আমাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
এদিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন ও সাবেক মহিলা সদস্য রুনা আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসী ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে না বলে আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী তাদের সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। পরিস্থিতি শান্ত হলে যান চলাচল শুরু হয়।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর পেয়ে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে না এমন আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী সড়ক থেকে সরে যান।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
Discussion about this post