সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের অপরাধের স্বর্গরাজ্য নামে খ্যাত চনপাড়া পুর্ণবাসন কেন্দ্রের সন্ত্রাসী জয়নাল সঙ্গে সন্ত্রাসী সিটি শাহিন গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৮/১০ জন আহত হয়েছে। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হুমায়ুন কবির মোল্লাসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে নাঈম (২৮) ও মামুনকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২১ জনকে এজহার নামীয় আসামী করে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আদম ব্যবসার ১০ হাজার টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকালে জয়নাল গ্রুপের ও সিটি শাহিন গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী পূর্বগ্রামস্থ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মীমাংশার জন্য চেষ্টা করা হয়। উভয়পক্ষ বিচার সালিশ না মেনে চলে যায়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী সিটি শাহিন গ্রুপের লোকজন সন্ত্রাসী জয়নাল গ্রুপের কর্মী রায়হানকে (২৫) ধারালো ছোড়া দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে জয়নাল গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাহিন গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করে। এ সময় শাহিন গ্রুপের লোকজনও অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় উভয়পক্ষের ৮/১০ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, রাব্বি (২৩), মোক্তার (৩২), নুর আলম (৩৫), সালাম (২৫), রবিন (২৩), আরিফ ওরফে ডন আরিফ (২৫), জনি (২৬), রিপন (২৮)। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে ধাওয়া করলে সংঘর্ষকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির মোল্লা, এএসআই বায়েজিদ হাওলাদার, আব্দুল হালিম, সিপাহী নুরুল আমিন, সিরাজুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক আহত হয়। পরে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবর বুলেট ছোড়ে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোন সন্ত্রাসীকে ছাড় দেওয়া হবে না। সংঘর্ষকারীদের দ্রæত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post