নুর এ আলম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দক্ষিন পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুল ফিডিং এর বিস্কুট চুরির অভিযোগ উঠেছে।দুই সহকারী শিক্ষক হলেন, নাজমা বেগম ও জয়ন্তী।
জানা যায়, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশিলন আমতলী ও তালতলী উপজেলায় প্রত্যেক সরকারী প্রাথমিক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি দুইমাস পর পর ৫৬ প্যাকেট বিস্কুট দেয়। গত শনিবার সুশিলন ওই স্কুলে শিক্ষার্থীদেরকে বিস্কুট বিতরণ করে।
সুশিলনের মাঠ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান শনিবার উপস্থিত থাকলেও সোমবার সিদ্দিকুুর রহমানের অনুপস্থিতে প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় ওই দুইজন শিক্ষক তাদের ব্যানিটি ব্যাগ ভর্তি করে ১১২ প্যাকেট বিস্কুট চুরি করে নেওয়ার সময় স্থানীয় জনগণ স্কুলের সামনের সড়কে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় হাতে নাতে তাদের ধরে ফেলে।
স্থানীয় জনগণ জড়ো হলে পরিস্থিতি অশান্ত হলে আমতলী থানার এসআই শুভ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিস্কুট জব্দ করেন। শিক্ষক নাজমা বেগম বলেন, আমার বাচ্চা মারজান শনিবার স্কুলে যায়নি। সেই বিস্কুট আমি নিয়ে আসছি। প্রধান শিক্ষক মৌলুদা ইয়াসমিন ও সহকারী শিক্ষক জয়ন্তী এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
ওই এলাকার বারেক তালুকদার জোছনা বেগম, মিজানুর রহমান খান বলেন, প্রধান শিক্ষক মৌলুদা ইয়াসমিন এর আগেও শিশুদের বিস্কুট চুরি করে নেওয়ার সময় অটো রিক্সা উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে পরে যায়। তখন তার ব্যাগ থেকে চোরাই বিস্কুট বের হয় যায়। তখনও জনগণের তোপের মুখে পরেন।
আমতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের শিক্ষকরা বিস্কুট চুরি করেনি। করোনা কালিন সময় শিক্ষকরা বিস্কুট শিশুদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে দিতে গিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন দুর্নাম দিয়েছে তারা বিস্কুট চুরি করেছে। সুশিলন প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর রফিকুল ইসলাম বলেন, বিস্কুট বিতরণ করার সময় আমাদের ফিল্ড অফিসার থাকার কথা। কেন থাকতে পারেনি সেটা আমি জানতে পারেনি। তবে শিক্ষকরা বিস্কুট নেওয়ার বিষয়টি মনে হয় সঠিক নয়।
আমতলী থানার এসআই শুভ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১২ প্যাকেট বিস্কুট দুই শিক্ষকের নিকট থেকে উদ্ধার করেছি। তারা আমাকে বলেছে দুইজন শিক্ষার্থী শনিবার স্কুলে এসে বিস্কুট নেয়নি। তাদের বিস্কুট বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার জন্য তারা ব্যাগে করে বিস্কুট নিয়েছে। আমি বিস্কুট গুলো উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দিয়েছি।
ওই এলাকার সমাজ সেবক মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক জয়ন্তী এখন পর্যন্ত বিয়ে করেনি। তিনি কোন শিশুর বিস্কুট নিলেন। যে শিক্ষকরা শিশুদের বিস্কুট চুরি করে নিতে পারে তাদের শিক্ষকতা পেশায় থাকা উচিৎ নয়।
Discussion about this post