মোঃ সাইদুর রহমান,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
আমতলীতে পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে বৃহস্পতিবার বিকেল আমতলী পৌরসভার নয়াভাঙ্গলী গ্রামের জাফর খান নামে (৫০) এক ইমারত শ্রমিককে পিটিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় জাফরকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদ খানের ছেলে জাফর খানের নিকট থেকে আড়াই বছর পূর্বে ওই একই ওয়ার্ডের নিজকাটা গ্রামের হোচেন ঘরামীর ছেলে রিপন ঘরামী বিদেশে যাওয়ার জন্য পৌনে দুই লক্ষ টাকা ধার নেন। ধারের টাকা পরিশোধের জন্য বললে রিপন আজ নয় কাল দেব বলে ঘুরাতে থাকেন। এভাবে প্রায় আড়াই বছর কেটে যায়। এনিয়ে গ্রামে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়। কিন্তু রিপন শালিশদের কথা অমান্য করেও টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার সময় জাফর খান রিপনের বাড়ি গিয়ে তার মার কাছে টাকা পরিশোধে জন্য চাপ দেন।
এসময়, রিপন বাড়ি ছিল না। জাফর খান নিজ বাড়িতে এসে দাড়ানো মাত্রই রিপন ঘরামী, তার স্ত্রী মেরী আক্তার লোহার রড এবং বাঁশ নিয়ে জাফর খানের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আকস্মিক পিছন থেকে জাফরকে পিটাতে থাকেন। লোহার রড এবং বাঁশের আঘাতে জাফর খান মাটিতে লুটিয়ে ডাক চিৎকার দিলে বাড়িতে থাকা লোকজন এবং তার স্ত্রী ছুটে এসে তাকে রক্ষা করতে চাইলে রিপন ঘরামী তাদের উপরও হামলা করে। রড এবং বাঁশের আঘাতে রিপনের বাম হাতের ১টি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং পিঠ ও হাটুতে প্রচন্ড আঘাতের কারনে ফেটে যায়। তাৎক্ষনিক জাফরকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
গুরুতর আহত জাফর খান বলেন, রিপন বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আড়াই বছর পূর্বে আমার নিকট থেকে পৌনে দুই লক্ষ টাকা ধার নেয়। টাকা চাইতে গেলে সে ঝগরা ঝাটি করে। টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এ নিয়ে অনেকবার এলাকাবাসী শালিস বৈঠকও করেছে। বৃহস্পতিবার রিপনের মার কাছে টাকা পরিশোধের কথা বলার অপরাধে আমার বাড়ীতে এসে ওর স্ত্রী মেরীসহ আমাকে লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। রডের আঘাতে আমার বাম হাতের ১টি আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। শরীরে অনেক জায়গা ফেটে গেছে। জাফর খানের স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, রিপন আমার স্বামীকে রড এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে রিপন আমাকেও মারধর করে।
অভিযুক্ত রিপন ঘরামী মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, সামন্য কথাকটাকাটি হয়েছে। আমি জাফর খানকে মারধর করিনি। তবে সে টাকা পাওয়া কথা স্বীকার করেন।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার বলেন, জাফর খানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post