মোঃ সাইদুর রহমান,বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে মঙ্গলবার উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের কালাম সিকদার এর মেয়ে চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মিম (১১) তার নানি মাজেদা বেগম মারধর করায় অসুস্থ হয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে পৌরশহরের ছুড়িকাটা গ্রামের মোক্তার মিয়ার বাড়ীতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মিম কে ঘুরতে দেখা যায়।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষেও মিম ঐ বাড়ীতে থেকে যায়। অপরিচিত হওয়ায় মোক্তার মিয়ার মেয়ে মুন্নী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিমের ছবি একটি পোষ্ট দেয়।মিমের পোষ্টটি আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সজীব। পোষ্টটি দেখে ক্লাবের সদস্য মো. সাকিব, মো. হাসান খান্না মোক্তার মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে মিম সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে আমতলী থানা পুলিশে খবর দেয়। আমতলী থানার অষিার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমানের নির্দেশে থনার এস আই মো. আশরাফ হোসেন ও এ এস আই তাইফুর রহমান মিমকে মোক্তার মিয়ার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতে ১ টার সময় মিমের পিতা কালাম মিয়া ও চাচা মো. কামাল হোসেনের কাছে দিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, কালামের সাথে মিমের মা নাসরিনের প্রায় ১০ বছর ডিভোর্স হয় । ডিভোস হওয়ার পর মিম কোন সময় তার নানী মাজেদা বেগম. ও বাবার বাড়ীতে থাকতো। বাবার বাড়ীতে থাকলেই সৎ মা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো। ১ লা মার্চ সকালে সৎ মা আখিনুর বেগমের নির্যাতনে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। মিমের ও তার পরিবারের এ অবস্থা দেখে দক্ষিন বাংলা ব্লাড ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান সজিব মিম এর এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়ার সকল খরচের দায়িত্ব নেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মো. সাইদুর রহমান সজিব বলেন, মিমের পরিবারের অসহায়ত্বের অবস্থা দেখে দক্ষিন বাংলা ব্লাড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসএসসি পাশ পর্যন্ত লেখা পড়ার খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, মিমকে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে তার নিজ বাড়ীতে হস্তান্তর করা হয়েছে থানা পুলিশ নিয়মিত মিমের খোজ খবর নিবে।
Discussion about this post