মোঃ সাইদুর রহমান,বরগুনা প্রতিনিধি:
আমতলীর ইউএনওর মোবাইল ফোন ক্লোন করে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকট বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ দাবী করেছে একটি প্রতারক চক্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর (০১৭৭৪০৩০১৪৮) ক্লোন করে বৃহস্পতিবার একটি প্রতারক চক্র আমতলীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিকট বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ দাবী করেন। এবং ওই প্রতারক চক্র তাদের একটি মোবাইল নম্বর (০১৭২১০০৮৩২৬) সরবরাহ করেন এর মাধ্যমে বিকাশে টাকা প্রেরনের জন্যে। পরে চেয়ারম্যানরা ইউএনওর সরকারী নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ।
আঠারগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টিআর এর কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। তাৎক্ষনিক ইউএনওর সরকারী নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারি এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, প্রতারক চক্র ইউএনওর পরিচয় দিয়ে আমার নিকট ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেছে। এ ভাবে আরো কয়েক জন চেয়ারম্যানের নিকট ঘুষ দাবী করেছে বলে জানা গেছে।
চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, আমার নিকটও টাকা চেয়ে ফোন করেছিল প্রতারক চক্র।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন, বিষয়টা আমরা আমলে নিয়ে গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করতেছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, আমার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা চাওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যানরা আমাকে জানিয়েছে। সাথে সাথে আমি আমতলী থানাকে অবহিত করেছি। এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। তাই সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। এবং কাউকে কোন টাকা পয়সা লেনদেন না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
Discussion about this post