মোঃ আরিফুজ্জামান জয়, আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ভেটোরিনারী সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে, এ অবস্থায় উপজেলার পশু-প্রাণী পালনকারিদের পশু পালনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২১টি গ্রামের লাখো মানুষের ৫৮হাজার ৭শত ৭৬টি গবাদী পশু ও ২লাখ ৯০হাজার ৫০১টির অধিক হাঁস মুরগীসহ বিভিন্ন প্রাণি রয়েছে। তাই প্রতিদিন অনেক গবাদিপশু প্রাণি পালনকারি সেবা ও পরামর্শ নিতে আসেন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু ভেটোরিনারী সার্জনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে আসা লোকদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরোনারী সার্জন, একজন উপজেলা লাইফ স্টাক অ্যাসিসটেন্ট (ইউএলএ), তিনজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (ডিএফএ), একজন কম্পাউন্ডার, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ড (এফএ/এআই), একজন অফিস সহকারী, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এ কার্যালয়ে বর্তমানে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ড, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়কসহ নয় পদে ১১জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্থলে পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। ছয়টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এদিকে এই পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যেও এক কর্মকর্তা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম আসজাদ জানান, ভেটেরেনারি সার্জনসহ জনবল সংকট থাকায় মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকি করতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বাড়তি চাপ পড়ছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা খানিকটা ব্যাহতও হচ্ছে। তারপরেও সাধ্য অনুযায়ী সেবা দিতে চেষ্টা করছি। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
Discussion about this post