নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে ১৩ জনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। যদিও এই ধান্দা বাজির অভিভাবকরা এখনও গায়ে হাওয়া বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিটি অভিযানের পর নতুন করে একই ধান্দা চালু করার ছক তৈরি করছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গুরুত্ব সহকারে অবগত করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি এবং অনবরত চলছেই। জানা যায়, প্রশাসনের মদদ নিয়ে এসব কাজ পরিচালনা করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মহল। আর নিশ্চিত ঝুঁকির দিকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে আশেপাশের নদী লাগোয়া গ্রাম গুলো, যে কোনো সময় নদী নিষ্ঠুর রুপ ধারন করে গ্রাস করে নেবে জনমানুষের সহায় সম্বল। পথের ফকির হবে হাজারো পরিবার।
সংবাদ তৈরি করার মত বিষয় হবে, গান বা কবিতা লেখার মতও বিষয় তৈরি হবে, টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখে বা পত্রিকা হাতে নিয়ে ক্ষমতাসীন ভদ্র সমাজ চা এর কাপে চুমুক দিতে দিতে শুধু আফসোস করবে আর বলবে, যদি এমনটা না হত!
কিন্তু এমটা না হওয়ার জন্য যে কিছু করা যায়, তা জেনে বুঝেও ক্ষমতাসীন ভদ্র সমাজের কার্যকরী ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল।
আর অন্য দিকে যারা ধরা পরেছে তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নির্বাহী হাকিম ও সোনারগাঁও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন এ সাজা প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হল- সাইফুল ইসলাম (২৫), জসিম (৪৫), ফিরোজ (৩৫), আনোয়ার হোসেন (৪০), রাকিব (১৮), রুবেল (২১), মনিরুল ইসলাম (৩২), নুর মোহাম্মদ (২৪), রফিকুল ইসলাম (২৫), সুলতান মোল্লা (১৮), সালাউদ্দিন (১৮), ইউসুফ মোল্লা (২০) ও রুবায়েত হোসেন (৩৬)।
জানা যায়, তারা উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীতে দীর্ঘদিন যাবত ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালত বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আনোয়ার উল হকের সহায়তায় ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন এ দন্ড দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন বলেন, বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০-এর ১৫ এর ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এ দন্ড প্রদান করা হয়।
Discussion about this post