সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর কাঁঠালিয়া গ্রামের ইব্রাহিম সরকার সোহেল ও তার পিতা লুৎফর রহমান সরকার গং দের বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে একাধিক মালিকের নিকট হতে একাধিক দাগ নং ও জমি হতে ক্রয় সূত্রে ও কিছু জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন এবং নাম জারির জমা ভাগ করে খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। পাশাপাশি চাষাবাদ ও ঘরবাড়ি নির্মাণের মাধ্যমে নিজের জায়গা ভোগ দখল করে আসছেন। তন্মধ্যে হঠাৎ মালিকানা দাবী করে জাল কাগজের মাধ্যমে সাদিপুরের নয়াপুরস্থ বীকন ও রীম নামক দুটি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে একই জায়গা জোর পূর্বক মালিক হওয়ার পায়তারা করছে। যার পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে কাজ করছে একই গ্রামের একাধিক মামলার আসামি আমজাদ হোসেন ও রীম গ্রুপের মার্কেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম ওরফে জহির। উল্লেখ, আমাদের ১৫ শতাংশ সহ এলাকার বহু মানুষের জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। তাছাড়া ‘মুক্ত খবর’ পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় আমাদের সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যু অ্যাখ্যা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসীর মতে, প্রতিষ্ঠানের দখলকৃত জায়গার বাইরেও ইব্রাহিম সরকারের মালিকানাধীন আরো কিছু জায়গা ভূয়া দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন হামলা ও ভয় ভীতি দেখিয়ে নিজেকে মালিক দাবী করছে। তাছাড়া গত ১৪’ই জুন সোনারগাঁ থানায় একটি মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। এবিষয়ে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বখাটে ভূমিদস্যু আমজাদ সঠিক ভাবে কোনো দলিল পেশ করতে পারেনি। কয়েকদিন আগে উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমজাদ তার ছেলে বখাটে রাকিব সহ আরো কয়েকজন মিলে ইব্রাহিম সরকার তার পিতা লুৎফর রহমান ও ছোট ভাই হানিফ সরকারকে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে নীলা ফুলা ও জখম করে। বিষয়ে আমজাদ ও তার সন্ত্রাস বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এমনকি বিভিন্ন সনামধন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে বিষয়টি উঠে আসে।
ইব্রাহিম সরকার জানান, আমি ও আমার পরিবার সচ্ছল ও শান্তিপ্রিয়। আমার জায়গার পার্শ্ববর্তী একই দাগের বেশ কিছু জায়গায় তাদের মালিকানা হওয়ায় তারা ভুয়া দলিলের মাধ্যমে আমার জায়গা আত্মসাৎ করে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রির পাঁয়তারা করছে। বিশেষ করে গত এক বছর যাবত তাদের এই উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে বা মোবাইল ফোনে আমি ও আমার ছোট ভাইকে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে মার্কেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেনের ছেলে রাকিব। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার তীব্র ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। উল্লিখিত তিনজন কালপ্রিট এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাতে বিখ্যাত। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। এমনকি কিছু হলুদ গণমাধ্যমকর্মীকে হাত করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করছে, যা কিনা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির চতুর্থ স্তম্ভ ও জাতির বিবেক, তাই সাংবাদিকদের আমি অনুরোধ করবো সঠিক যাচাইয়ের মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করুন ও পূর্বে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Discussion about this post