এবার নিজেকে পবিত্র রমজান মাসের খাদেম হিসেবে আত্ন নিয়োগ করলেন সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌরভবনাথপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও গরীবের উকিল নামে খ্যাত নারায়ণগন্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া (আইডি নং-১৪০৯)।তিনি সাহরীর সময় তার নিজ এলাকা পৌর ভবনাথপুর গ্রামের মদিনা আবাসিক এলাকায় ঘরের সামনে গিয়ে খাদেমের সুরে বলতে থাকেন- আপনারা ঘুম থেকে উঠুন, সাহরী খান, রোজা রাখুন।
এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার খাদেমের কাজে এলাকাবাশী খুবই খুশি।পৌর ভবনাথপুর গ্রামের মদিনা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মতিন মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন একজন এডভোকেট আমাদের এলাকার সন্তান তিনি ভোর রাতে ৩:০৫মিনিটে সাহরীর সময় আমাদের মহল্লায় লোকজনদের পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে বলেন-আপনারা ঘুম থেকে উঠুন, সাহরী খান, রোজা রাখুন। এটা আসলে আমি কল্পনা করতে পারি না বা বিশ্বাস করতে পারি না যে, একজন এডভোকেট এ রকম খাদেমের কাজ করতে পারে। আমরা মহল্লাবাশী আল্লাহর কাছে এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার জন্য দোয়াকরি তিনি যেন মানুষের কল্যানে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে পারেন এবং আল্লাহ তাকে সুখে ও শান্তিতে রাখেন।
এ বিষয়ে এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-পবিত্র রমজান মাস বরকত, রহমত ও ক্ষমার মাস। আমার একটি ভালো কাজের জন্য যদি মহল্লাবাশী উপকৃত হয় তবে এর প্রতিদান আল্লাহ আমাকে দিবেন।আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য খাদেমের কাজ করি।করোনা ভাইরাসকালীন সময়ে যতটুকু পারি মানুষের উপকার করতে। সরকারের কাছে দাবী থাকবে মুসলমানদের প্রার্থনা ঘর মসজিদ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাতে আমরা সবাই একত্রে নামাজ পরতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে করোনা ভাইরাস থেকে হেফাজত করুক। আমিন।
সর্বোপরি তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বলেন-আসুন আপনি, আমি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের দিকনিদের্শনা মাফিক সচেতন হয়ে ঘরে অবস্থান করি এবং খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরেযাওয়া যাবে না। পরিশেষে তিনি আল্লাহর কাছে বলেন, হে আল্লাহ। আপনি পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে এবং আপনার প্রিয়বন্ধু যাকে আপনি বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরন করেছেন সেই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর নামের উসিলায় আমাদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
উল্লেখ্য যে, ইতি পূর্বে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডেরজনাসাধারণকে পাশে থেকে নানা ভাবে সাহায্য ও সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।প্রথমে তিনি মাইকিং করে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাতকোপা, অনন্তমুছা, চৌদানা, পৌর ভবনাথপুর, দত্তপাড়া (মুসলিম নগর), জয়রামপুর, গোবিন্দপুর, চকসোনারগাঁ, বাড়ি শ্যামকুমার, দক্ষিন ষোলপাড়া মোট ১০ গ্রামে করোনা ভাইরাস থেকে কি ভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় তার জন্যতিনি মাইকিং করেন এবং জনগণকে সচেতনামুলক লিফলেট বিতরন করেন। সেই সাথে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেসোনারগাঁ উপজেলার মেইন গেইটের সামনে দারিদ্রদের মধ্যে বিনা মূল্যে ২০০ পিছ মাক্স বিতরণ করেন। এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়া নিজের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন। করোনা ভাইরাসে লকডাউনে থাকাকর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িছেন তিনি সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর ভবনাথপুর গ্রামের ৫০ টি পরিবারের মাঝেখাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তার খাদ্য সহায়তায় ছিল ৫ কেজি চাউল, আধা কেজি ডাউল, আধা কেজি তৈল, আধা কেজি পিয়াজ, আধা কেজি লবন, ২.৫ কেজি আলু এবং হাত মুখ পরিস্কার করার জন্য একটি সাবান এবং সাধ্যমত অনেক পরিবারকেওকরেছেন আর্থিক সহায়তা।
গত ২৩শে এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে সোনারগাঁয়ের কৃতি সন্তান সৌদি আরব প্রবাসী এডভোকেটমো: ফিরোজ মিয়ার বন্ধু সাজ্জাত হোসাইন এবং আজিজুল ইসলামের আর্থিক সহায়তায় সমাজ সেবক মো: রফিকুল ইসলাম কে সাথে নিয়ে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হাতকোপা, অনন্তমুছা, চৌদানা, পৌর ভবনাথপুর গ্রামের ৩০ জন গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে রাত ৮:৩০ মিনিটে রাতের অন্ধকারে ঘরে ঘরে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেন। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল১ কেজি মুড়ি, ১ কেজি ছোলা বুট, ১ কেজি চিনি, আধা কেজি বেসন, আধা কেজি খেজুর, ১টি ট্যাংক শরবতের প্যাকেট।
Discussion about this post