সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বিনা অপরাধে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের আমলে গাইবী মামলায় ২৬ মাস কারাবন্দি জীবন কাটিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিআরটিসির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। কারাবরণ পূর্বে তিনি নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পান। সারাদেশে ওই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা হয়। পরবর্তী নির্বাচনে তৈমূরকে মনোনয়ন না দিয়ে দেয়া হয় বিএনপির বির্তকিত নেতা কাজী মনিরুজ্জামানকে। ফলে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিকের কাছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। অথচ ওই পরীক্ষিত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়। আজ বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সামসুর রহমান খান বেনু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেন তৈমূর আলম খন্দকার। মহানগরে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পূর্বে কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাড. তৈমূর। তখন সারা নারায়ণগঞ্জে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীরা হতাশায় পড়েন। ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে রূপগঞ্জবাসী তৈমূরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নও ভেঙে যায়। মনোনয়ন দেয়া হয় কাজী মনিরকে। তখনও লক্ষাধিক ভোটে পুনরায় পরাজিত হন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনতার অনুরোধে মেয়র পদে হাতি মার্কা প্রতিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন অ্যাড. তৈমূর। তখনো গণজোয়ার সৃষ্টি হলে দল থেকে তৈমূরকে বহিস্কার করা হয়। তারপরও ৯৩ হাজার ভোট পান তিনি। এখনো নারায়ণগঞ্জের মাঠে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে একমাত্র তৈমূর আলম খন্দকারকেই দেখা যায়। জেলা বিএনপিকে উজ্জীবিত করতে তৈমূর আলমের বিকল্প নেই। আদু ভাই ও নন্দলাল দিয়ে বিএনপি পুনরুজ্জীবিত করা যাবে না। এসি রুমে বসে ত্যাগী নেতাদের দল থেকে বহিস্কার করার কারণেই আজ বিএনপি ধংস হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে তৈমূর আলম খন্দকারের বহিস্কার প্রত্যাহার করা জরুরী।
Discussion about this post