নুরুল বশর মানিক,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের কর্মীসভা অনুষ্টিত হয়। এসময় প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ (এমপি)।
গতকাল বুধবার বিকেল চারটায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে, কক্সবাজার জেলা আওযামীলীগের সভাপতি ( ভারপ্রাপ্ত) এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মীসভা অনুষ্টিত হয়।
উক্ত কর্মীসভায় প্রধাণ অতিথির বক্ত্যব্য প্রদানকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ (এমপি) বলেন কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে,
এছাড়াও তিনি বলেছেন আপনাদের (কক্সবাজারে নেতাদের) বক্তব্য শোনে আমি হতাশ হয়েছি। আমি বুঝতে পেরেছি এখানে দলের শৃঙ্খলা নেই। সবাই বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন।বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের বিভক্তি বেড়েছে।এ বিভক্তিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সাংসদরা কেন বিভক্তিতে জড়াবেন। আপনারা দল ও জনগণের অভিভাবক। কাউকে দুরে ঠেলে বা কাউকে কাছে আনার প্রবণতা পরিত্যাগ করতে হবে।এ বিভক্তি ঐক্যবদ্ধ করা না গেলে আগামী নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব পড়বে। তাই অভিভাবকের মতো দায়িত্ব পালন করতে সাংসদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।মনে রাখতে হবে, ‘দলের শক্তি তৃণমূল নেতাকর্মী। এদের মধ্য বিভক্তি তৈরি করা গেলে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করা যায়। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করর সম্ভব না’।
দল ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ৭১’ সালের পরাজয়ের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। এখনো তারা সে পরাজয় ভুলতে না পেরে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে তখন উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতেই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানিরা।
স্থানীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলের সব ধরনের পদবী থেকে বঞ্চিত হবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছে, তাদের যারা সহযোগী করেছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর যদি কেউ মনে করেন ‘সাতখুন মাফ’ তারা ভুল করছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা। উক্ত সভায় নেতাকর্মীদের বক্তব্যের পর দলকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, পেকুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রাজা শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তক আহম্মদ চৌধুরী প্রমুখ।
Discussion about this post