আসাদুর রহমান,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা,কুড়িগ্রাম জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে সব থেকে নিকটবর্তি উপজেলা রাজারহাট।কুড়িগ্রাম থেকে যার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এ এলাকায় মোট ৭ টি ইউনিয়ন। করোনার তেমন প্রভাব না থাকলেও সারা বাংলাদেশের ন্যায় এখানেও চলছে কঠোর লকডাউন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তৃতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজারহাট উপজেলায় কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গেল কয়েক দিন ঢিলেঢালা লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ ব্যতীত সব কিছুই ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। এখন সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনার পর থেকে পাল্টে যায় এ উপজেলার চিত্র।খোলা হয়নি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ও জরুরি ঔষধি দোকান ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । সড়ক গুলোতে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের অপ্রতুল ছোট ছোট যানবাহন ছাড়া চলেনি কোন যানবাহন। বন্ধ ছিল সরকারি-বেসরকারি অফিস।
রাজারহাট উপজেলা সদর বাজার ও নাজিমখাঁন সহ বেশ কয়েকটি বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুরে তাসনিম ও সহকারি কমিশনার(ভূমি)আকলিমা বেগম রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকারের সহোযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
লকডাউানের দ্বিতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা পুলিশ প্রশাসন সচেতনতা মুলক প্রচারণা ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় লকডাউনে ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা অনুযায়ী কয়েক জন পথচারী ও দোকানিকে ২০০ টাকা করে জরিমানা করেন।জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।
Discussion about this post