মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে ইজ্জাতুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুজ্জামান এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বই বিক্রি করায় স্থানীয়রা ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি করেছেন।
ইজ্জাতুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের দেয়া পাঠ্যবই কেজি দরে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যা টপ অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আনিছুজ্জামান নানা ধরণের অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমালোচিত হয়েছেন। একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বই বিক্রি করার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নীল রঙ এর একটি পিকাপ ভ্যান ইজ্জাতুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর অফিস কক্ষের সামনে দাঁড়ানো।।সেখানে সরকারের দেওয়া পাঠ্য বই কেজি দরে বিক্রির উদ্দেশ্যে পিকাপ ভ্যানে তোলা হচ্ছে। পিক আপ ভ্যানের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন প্রধান শিক্ষক আনিছুজ্জামান।
আইন অনুযায়ী বিনামূল্যে বিভিন্ন শ্রেণিতে সরবরাহ করা সরকারি বই বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর চেয়ে বই বেশি গেলে তা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফেরত দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারী ইভা সাংবাদিকদের জানান, বই বিক্রির বিষয়টি আমি এখনো জানি না। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, যারা বই খাতা কিনেন, তারা মাদারগঞ্জ থেকে বই কিনে পিক আপ ভ্যানে করে নিয়ে এসে আমার বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন। আমি কিছু পুরোনো খাতা বিক্রি করেছি। বই বিক্রি করিনি। আমার বিরুদ্ধে প্রায়ই এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। খুব জ্বালায় আছি আমি। চাকরী করাই দায় হয়ে উঠেছে।
Discussion about this post