মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে আখের গুড়ের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। এ সময় ভেজাল গুড় জব্দ করা হয়। এবং আখের গুড়ে ভেজাল মেশানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুড় কারখানা মালিককে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়।
রোববার (৩ মে) সন্ধ্যারাতে রামনগর গ্রামের আমির উদ্দীন শেখরের ছেলে হকাজ্জেল আলীর গুড় (বাইন) কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ানুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ওয়ালিউল্লাহ,এসআই মামুনুর রশীদসহ পুলিশের একটিদল। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুর গ্রামের হকাজ্জেল আলী নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তার কারখানায় উৎপাদিত গুড়ের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে স্থানীয় ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা রোববার বিকেল থেকে গুড় কারখানায় ঘিরে রাখে। সন্ধ্যায় ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রস্তুতকৃত গুড়ে ভেজাল পাওয়া যায়। অভিযানের সময় গুড় কারখানা মালিক হকাজ্জেল তার দোষ স্বীকার করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানা মালিক হকাজ্জেলকে ২০দিনের কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি তার কারখানা থেকে ১২শ কেজি ভেজাল গুড়,২শ কেজি চিনি ও ১৩ কেজি ডালডা ঘি জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান কারখানা মালিক হকাজ্জেল আখের রস ছাড়াই চিনি ও ডালডা ঘি মিশিয়ে নকল গুড় তৈরী করে আসছিল।
Discussion about this post