মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
শেষ সময়ে জমে উঠেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। গণসংযোগ আর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এই পৌরসভার নির্বাচন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌরসভার রাস্তাঘাট, অলিগলি ও পাড়া-মহল্লা এখন মিছিল, স্লোগানে মূখর। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পৌর শহর। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বসত বাড়িতেও এখন আলোচনার বিষয় শুধু নির্বাচন। প্রার্থীরা ভোট চেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারীন হোসেন (নৌকা), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (মোবাইল ফোন), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাদেক আকতার নেওয়াজী (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী অপু (জগ)।
প্রার্থীরা সমান ভাবে চালাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও মাইকিং। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ফারিন হোসেন ইস্তিয়াক হোসেন দিদার ইউমেন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, হাতীভাঙ্গা মোফাজ্জল হোসেন মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ও লাইলী-মজনু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের জমি দাতা। দলীয় প্রার্থীর নৌকা বিজয় নিশ্চিত করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকার পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে গণসংযোগ করছেন।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা ব্যক্ত করে সাবেক মেয়র শাহনেওয়াজ শাহান শাহ বলেন, আমি মেয়র থাকাকালীন পৌরসভাকে বি-গ্রেড থেকে এ-গ্রেডে উন্নীত করেছি। পৌর শহরের রাস্তা ও ব্রীজ, কালভার্ট, ড্রেনসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। অসহায় লোকজন পেয়েছেন বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড। দেয়া হয়েছে মাতৃত্বকালীন ভাতা। বিশেষ করে শহরের সড়কে রাতে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। পৌরবাসী পেয়েছেন পরিচ্ছন্ন আধুনিক পৌর শহর। জমির মূল্য বেড়েছে কয়েকগুণ।জলাবদ্ধতা কমেছে। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে। মেয়র হিসেবে করোনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। পৌরবাসীর ঘরে-ঘরে পৌছে দিয়েছি চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এখন সিদ্ধান্ত নেবেন ভোটাররা কাকে মেয়র বানাবেন।
সাবেক মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী অপু খন্ডিত সময় ১৮ মাস মেয়র দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়ে তিনিও পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাদেক আকতার নেওয়াজীর পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের তেমন একটা প্রচারণা দেখা মিলছে না। ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী।
একই ভাবে নিজ নিজ প্রতীকে ভোট প্রার্থণা করে পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। সবাই নিজ নিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন।
আগামী ২৭ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে দেওয়ানগঞ্জে পৌরসভায় ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৩০ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৬৮৫ জন এবং নারী ১৫ হাজার ৪৪৭ জন। ৯টি ওয়ার্ডের ১২ টি কেন্দ্রে ৯৪ টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে।
Discussion about this post