মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরে কারা ফটকে অপহরণের সময় প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় চাকুরীর প্রলোভনে অর্থ আত্মসাত, ধর্ষণ এবং অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- ঢাকার কদমতলীর ধনিয়া গ্রামের এস এম রুহুল আমিনের ছেলে এস এম পবিত্র আল ইবাদত ওরফে শাহ্ আলম (৪৫), ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাশন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত মদন ব্যাপারীর ছেলে মো: মনিরুজ্জামান (৪২) ও তাদের গাড়ী চালক মাদারীপুরের শিবচরের বহেরাতলা গ্রামের মৃত হালিম আকন্দের ছেলে খোকন মিয়া (৫০)।
জামালপুর সদর সার্কেলের এএসপি জাহিদুল ইসলাম খান জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ইজারাপাড়া গ্রামের এক নারী ও তার স্বামী ৫ বছর আগে ৩ সন্তান নিয়ে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। ঢাকায় স্বামী রিকশা ভ্যান চালায় এবং ওই নারী বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝিযের কাজ করে। ৩ বছর আগে সেগুনবাগিচায় এস এম পবিত্র আল ইবাদত ওরফে শাহ্ আলমের অফিসে আয়ার কাজ নেন ওই নারী। অফিসে আয়ার কাজ করার সময় তার ছেলেকে চাকুরির প্রলোভনে ৬ মাস আগে শাহ্ আলম ওই নারীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেয়। চাকুরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে। ৩ মাস আগে প্রতারক শাহ্ আলম টাকা ফেরত দেবার কথা বলে ওই নারীকে তার অফিস সংলগ্ন বাসায় নিয়ে এক মাস চার দিন বাসায় আটক রেখে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে তার স্বামী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গ্রামের বাড়িতে নেন। উদ্ধারের পর প্রতারক শাহ্ আলম বাদি হয়ে ঢাকা মহানগর আদালতে ওই নারী, তার স্বামী, ২ ছেলে এবং ২ বোনকে আসামী করে চুরির মামলা দায়ের করে। গত ১০ ফেব্রুয়ারী পুলিশ সরিষাবাড়ী থেকে ওই নারী ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। মঙ্গলবার বিকালে জামিনে বের হলে স্বামীর সামনেই ওই নারীকে আসামীরা জামালপুর কারাগারের প্রধান ফটকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় জেলার আবু ফাত্তাহ, ওই নারীর স্বামী ও স্বজনরা তাদের ধরে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সদর থানার পুলিশ তাদের আটক ও অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ( ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-২২২৩) জব্দ করে।
এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারী ওই নারী বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
Discussion about this post