নুরুল বশর মানিকঃ
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয়” ৭১” এর রাজাকারদের চেয়েও ভয়ানক ছিল জিয়া ও তার অনুসারীরা প্রধাণমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মন্ত্যব্য করে সাবেক থানা রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউছুপ আলী বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন সত্য,সঠিক ও যথাযথ তথ্য প্রমান নিয়েই বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা খুঁনি জিয়া কে নিয়ে যে তথ্যমুলক ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরেছেনঃজিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয়”জিয়ার লাশ পাওয়া যায় নি”এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কিছু সত্য তুলে ধরেছেন সবই আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের নথিপত্র,তথ্যসূত্র,দলিলপত্রে,মুক্তিযুদ্ধের সকল বাস্তবিক দৃশ্যপট, স্থিরচিত্র ও মহান মুক্তিযুদ্ধের দেশপ্রেমী বীর সেনানী দের মাধ্যমেই প্রমানিত হয়ে যাচ্ছে।
ইউসুফ আলী আরও বলেন শেখ হাসিনার সঠিক ইতিহাস এর কথা যেখানে প্রমানিত এরপরও যারা এগুল অস্বীকার করে বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিতেছে তারা আসলে এখনো জিয়ার ভয়ংকরী অনুসারী হয়ে কাজ করছে,এরা এখনও সেই পাকিস্তানি পেত্বআত্বা হয়ে ই দেশ বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে,তারা দেশ প্রেমি নয়।
ইউসুফ আলী বলেনঃ শেখ হাসিনার বাস্তবিক তথ্যমুলক কথা গুলো নিয়ে বিশেষ করে দলের মধ্যে দুএক কতিপয় সিনিয়র নেতা ও দেশের কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের আমি ধিক্কার জানাই ও এর তীব্র নিন্দা জানাই,সেই সাথে তাদের কে বলব দ্রুত দেশের মানুষের কাছে মাফ চেয়ে নিজেদেরকে কে শুদ্ধি করে নিন”।
আর তাই এদের জন্য আরেকটি আইন করে পাশ করে বিচার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি মন্ত্যব্য করেন
আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে মহান স্বাধীনতার ইতিহাস কে জানব না তা হয় না।
তিনি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-যুব সকল কে জেনে নেওয়ার জন্য নিম্নে বর্নিত-মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন সেক্টরে কার কি দায়িত্ব ছিল – তা তুলে ধরেন
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুজিব নগর সরকার বাংলাদেশকে সর্বমোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করে।
১টি সেক্টর ১০ নম্বর সেক্টরের কোন ভৌগলিক অবস্থান ছিলোনা। প্রধান সেনাপতির অধীনে নৌ বাহিনী ও পরে বিমান বাহিনী সংযুক্ত থাকে।
১-৯ সেক্টর ও ১১ সেক্টরে যুদ্ধরত বাঙ্গালী সিনিয়র মেজরদের স্বীকৃতি দিয়ে সেক্টর কমান্ডার ও সাব সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ দেয়া হয়।এই নিয়োগ গুলো হয় জুলাই ১৯৭১।ফর্মেশন কমান্ডার ,প্রধান সেনাপতি ও প্রধানমন্ত্রী-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সাথে যৌথ সভায়।ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষে এ সভা উদ্বোধন করেন।
সেক্টর কমান্ডার ও বিগ্রেড ফোর্স গঠন ও কমান্ডার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয় এ সভাতেই।
সেক্টর -১ সেক্টর কমান্ডার : মেজর রফিকুল ইসলাম
সেক্টর-২ সেক্টর কমান্ডার মেজর খালেদ মোশারফ
সেক্টর -৩ সেক্টর কমান্ডার মেজর শফিউল্লাহ
সেক্টর-৪ সেক্টর কমান্ডার মেজর সি, আর দত্ত
সেক্টর-৫ সেক্টর কমান্ডার মেজর মীর শওকত আলী
সেক্টর-৬ সেক্টর কমান্ডার স্ক্রোয়াডন লীডার খাদেমুল বাশার
সেক্টর-৭ সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হক
সেক্টর-৮ সেক্টর কমান্ডার মেজর মঞ্জুর
সেক্টর-৯ সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল
সেক্টর-১০ প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী
সেক্টর-১১ সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের
এই সভায় তিনটি পূর্ণাঙ্গ বিগ্রেড গঠন করা হয়। তিনজন সিনিয়র মেজরের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে তিনটি বিগ্রেড গঠিত হয়।
- খালেদের নামে K Force এবং খালেদ অধিনায়ক ও sector-2 কমান্ডার
- শফিউল্লা হক নামে S Force এবং শফিউল্লাহ অধিনায়ক ও Sector-3 কমান্ডার
(বিঃদ্রঃ – জিয়ার নামে Z Force এবং জিয়া অধিনায়ক । কিন্তু কোন সেক্টরের দায়িত্ব জিয়াকে দেয়া হয়নি।)
সেক্টর -১ এর দায়িত্ব পান মেজর রফিকুল ইসলাম।
- শফিউল্লাহ, খালেদ, জিয়া, আবু ওসমান ১০ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে স্বস্ব সেক্টরে কাজ করছিলেন।
কিন্তু মুজিব নগর সরকার জুলাই’র সভায় সেক্টর পুনর্গঠন করেন ও দায়িত্ব বন্টন করে।জিয়াকে সেক্টরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র Z বিগ্রেড ফোর্স গড়ে তোলার দায়িত্ব দেন। - ২ নং সেক্টর কমান্ডার ও কে ফোর্সের অধিনায়ক খালেদ মোশারফ যুদ্ধে মারাত্মক আহত হলে মেজর হায়দার ২নং সেক্টর কমান্ডার ও মেজর সালেক ফোর্সের অধিনায়ক হন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাঃ ২৫ শে মার্চ জিয়া পাকিস্তানি সেনা হিসেবে থেকে যে সকল বাঙালিরা চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় বেরিকেড দিয়েছে তাদেরকে গুলি করেছে হত্যা করেছিল।
২৬ তারিখও জিয়া পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে ছিল ২৭ তারিখের সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়ে সেখান থেকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে আসে তখন বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে ২৭ তারিখে।(তবে এর আগে ২৭ তারিখ দুপুর দুটো থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার ঘোষণা রেডিওতে প্রচার করতে থাকে।)
যেহেতু একজন সেনা অফিসার ঘোষণা দিলে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হবে এবং বাঙ্গালীদের সাথে যে সেনাবাহিনী আছে সেটা প্রচার হবে দেশের মানুষের আস্থা বিশ্বাস বাড়বে।আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী তিনি এই পরামর্শ দেন।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান সাহেব সর্বপ্রথম জাতির পিতার পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন, এরপর একে একে অন্য নেতারাও পাঠ করেন।
- মেজর জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে কয়েকবার চেষ্টা করেও ভারতে নেয়া সম্ভব হয়নি। অথচ মেজর খালেদের স্ত্রী, মেজর শিশুর স্ত্রী সহ বেশ ক’জন বাঙ্গালী সেনা অফিসারদের স্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে নিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি ক্যান্টনমেন্টেই অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন!হায়রে সখ্যতা?
তবে কি বুঝা গেল বলুন ত সবাই জিয়ারা কি আসলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন!আর থাকলেও পাকিস্তানি বাহিনীদের সাথেই এক সাথে থেকে কিভাবে?যেখানে জাতীয় সব নেতা দের ও বুদ্ধিজীবী সকল কে ব্রাশ ফায়ার করে মারা হয়!আর সেখানে জিয়া পরিবার সে সময় কোনও সংকট ই মনে করে নি!
এই হল স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়া পরিবারের ইতিহাস!,তাই বলছি ভেবে চিন্তা করেই জিয়া পরিবার কে সকলই চিনে নিন!
আমি এতেই মনে করি এই জিয়া পরিবার রাঁজাকার বাহিনী দের থেকেও সে সময় ভয়ংকর ছিল, এরা সুঁই হয়ে সে সময় আমাদের মাঝে ঢুকে ছিল।
একটা সময় খালি মাঠ পেয়ে ভোল পরিবর্তন করে সুযোগ সন্ধানি কাজ চালায় ও এই মেজর জিয়ার নেতৃত্বে ই মুক্তিযুদ্ধের পরেও সেনাবাহিনীর মধ্যে কলহ লাগিয়ে রাখা হয়ে ছিল। এই জিয়ার সর্বপরিল্পনার পরিনামেই আমরা বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হারিয়েছি।
বলা বাহুল্য ইতিহাসে অনেকেই বলেছে ও লিখেছে খন্দকার মোশতাক এর গুরু ছিল একমাত্র মেজর জিয়া ই।কথায় আছে,ইতিহাসের সত্যতা কখনও লুকিয়ে থাকে না,তা বের হবেই।আর ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে পরে অনেকেই শেষ করুন পরিনতি হয়ে ভোগ করেছে আর বিএনপি কেও করতে হবে ও শেষ হয়ে যেতে হবে।
জয় বিশ্ব নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা……..
Discussion about this post