মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদীর তীরঘেঁষে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে এক ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এই চার গ্রামের জীবন-জীবিকা। অনেক পরিবারের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন। আবার অনেক পরিবার সরকারি আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে ঠাই হয়েছে। নদী গর্ভে বসত ভিটা বিলীন হওয়ার শংকায় আতংকিত গ্রামের বাসিন্দারা। তাই ভাঙন থেকে বাড়ি-ঘর রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার (০১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের ছয়ঘরহাটি এলাকার মেঘনা নদীর পাড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আব্রাহাম আহমেদ বাদল ও জুৎস্না বেগম সহ স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, বালুমহাল ইজারার নিয়ম না মেনে ইজারাদার নদীর তীরঘেঁষে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ছয়ঘরহাটিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের নদীর তীরবর্তী ঘর-বাড়িগুলো।
জানা যায়, সম্প্রতি জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও কেদারখোলা বালু মহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বালু মহালের ইজারা পেয়েছেন মেসার্স মৌসুমী ড্রেজিং সার্ভিস। যার স্বত্বাধিকারি পাশ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন মিন্টু।
সম্প্রতি ইজারায় উল্লিখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু পাবার লোভে নদীর চর ঘেঁসে বালু উত্তোলন শুরু করে ইজারাদার।
এমনকি সুযোগ বুঝে ড্রেজার লাগিয়ে তারা মেঘনা চরের ফসলি জমির মাটি কেটে নিতে থাকে। ফলে ৪টি গ্রামের নদীর তীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে কেদারখোলা, ছয়ঘরহাটি, গাছতলা ও হরিপুরের প্রায় ২০ হাজার মানুষের জীবন জীবিকা। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে ইজারাদার মোশারফ হোসেন মিন্টু বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই ড্রেজিং করছি। সরকারকে রাজস্ব দিয়ে ড্রেজিং করছি।
Discussion about this post