নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং দুর্নীতির গুঞ্জন উঠেছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রে ত্রুটি সৃষ্টি করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভুলতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের এক মেম্বার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রথমে অবৈধ ঘোষণা করেন তিনি। সুত্রের খবর ওই প্রার্থী তার কাছে গিয়ে অনেক কাকুতিমিনতি করেন। এরপর তার প্রার্থীতা বৈধ হয়। এ বৈধতার জন্য অনৈতিক সুবিধার গুঞ্জন উঠেছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত রূপগঞ্জে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার বদলির খবর নেই। তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বমুলক আচরনেরও খবর পাওয়া যায়। অনেকে প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলে না। পৌর নির্বাচনেও তাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের ওয়েব সাইডের নোটিশ বোর্ডে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসন্ন ইউপি নির্বাচনের কোনো প্রার্থী বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো তথ্য দেওয়া ছিলো না। তথ্যের জন্য পত্রিকা অফিস থেকে ফোন করা হলে তিনি সহজে ফোন রিসিভ করেন না। হঠাৎ ফোন রিসিভ করলেও বিস্তারিত তথ্য দেন না। তখন তিনি নানা ব্যস্ততার কথা শোনান। আগামী ১১ নভেম্বর রূপগঞ্জের ৫টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ। এসব ইউনিয়নে অনেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ,মেম্বার ,মহিলা মেম্বার হয়েছেন। সেই তথ্যগুলো তিনি সহজে দেন না।
এসব ব্যাপারে জানতে মঙ্গলবার ( ২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানকে এই প্রতিবেদক একাধিক বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই। মোবাইলে ম্যাসেজ দিলেও তিনি কোনো উত্তর দেন নাই। হোটসঅ্যাপে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে তারপর তিনি একবার রিসিভ করেন। বলেন, আমি ফোনে কথা বলার সময় পাই না। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম বলতে পারবো না। ডিজিএফআই ,নির্বাচন অফিসে তথ্য দিতে হয়। কায়েতপাড়ায় অফিস ভাংচুর হচ্ছে বলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে আমাদের প্রতিনিধিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস পাঠালে তিনি কোনো তথ্য দেননি।এছাড়া মঙ্গলবার তথ্যের জন্য সিরাজুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক তার কাছে গেলে তিনি ওই সাংবাদিককে তথ্য দেননি। এসময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন,পরশুদিন আইসেন ।
Discussion about this post