এক পাপিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজারো পাপিয়া।যারা মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা,চুরির সেন্ডিগেইটে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের দৃষ্টির বাহিরে।এমনি নারায়ণগঞ্জ জেলার এক পাপিয়া হচ্ছে সাবিনা।মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা,চুরির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি নিজেকে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয়।
ফতুল্লার দক্ষিন পিলকুনির ৫তলা এলাকার সামসু মিয়ার মেয়ে সাবিনা(৩০)।সাবিনার বর্তমান ২টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়,স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সাবিনা দীর্ঘ দিন দেশের বাহিরে থেকে প্রায় কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে আসে।এর পর থেকেই মাদক ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে।বর্তমান ঝালকুড়ির আতাউর নামে এক যুবকের সাথে মিলিত হয়ে চোরদের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করেছে।নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অটো,সিনএনজি,প্রাইভেট কার,মটর সাইকেল,মিশুক সহ বাসা বাড়িতেও চুরি করে এই সিন্ডিকেটের লোকেরা।এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে ফতুল্লা থানার পুলিশের সোর্স বলে পরিচয় দেয় সাবিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়,সাবিনা তার বাবা-মার সাথে থাকে।সাবিনার ২মেয়ে তার মায়ের কাছেই থাকে তবে বর্তমানে সাবিনা বেশি বাসায় থাকে না।এক এক সময় এক এক জন পুরুষের সাথে দেখা যায়।পিলকুনি সহ ফতুল্লায় বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সরবরাহ করে উঠতি বয়সের যুবকদের ধ্বংস করছে।আতাউর নামে একটি ছেলের সাথে মিলে নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়ী চুরি করে তারা।চুরি করা গাড়ীতে সাবিনা যাত্রী সেজে বসে থাকে এবং আতাউর চালিয়ে নিয়ে আসে।
একটি গোপন সূত্রে জানা যায়,সাবিনা বর্তমান যাত্রাবাড়ী একটি ভাড়াটে বাড়িতে অবস্থান করছে এবং সেখান থেকে সে মাদক, দেহ ব্যবসা সহ চুরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অনুরোধ,করোনার থেকে ভয়ংকর মাদকের কোরাল ঘ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য এদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করা হোক।এদের ফলে সমাজে ছড়িয়ে যাচ্ছে মাদক নষ্ট হচ্ছে হাজারো যুব সমাজ।সমাজ থেকে মাদক ব্যবসায়ী,দেহ ব্যবসায়ীদের উৎখাত করা হোক।
Discussion about this post