মেহেদী হাসান ,জামালপুর প্রতিনিধিঃ
যমুনা-ব্রহ্মপুত্র ও জিঞ্জিরাম নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তর জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
দেওয়ানগঞ্জ-কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর সড়কের সানন্দবাড়ী সেতু সংলগ্ন এলাকায় জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙনে প্রায় ৫০০ মিটার নদীর তীরসংক্ষণ বাঁধ, ১০-১২টি ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে।
চরম হুমকির মুখে পড়েছে জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিন উপজেলার মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সানন্দনাড়ী সেতু। সেতুটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, সানন্দবাড়ী ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলার লাখ লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
এলাকাবাসী জানান, দেওয়ানগঞ্জ-কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর সড়ক ও সানন্দবাড়ী সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকেন। সড়কটির প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা জুড়ে আংশিক নদীতে বিলীন হওয়ায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পাছেনা। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে ৩ উপজেলার মানুষ। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় নদীতে বিলীন হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সানন্দবাড়ী সেতু।
এতে তিন উপজেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষের চলাচল সর্ম্পুণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
দেওয়ানগঞ্জ-মৌলভীরচর পাকা সড়কটিও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের মুখে পড়ছে। ভাঙনের মুখে পড়ছে দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়ক। দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়কটি কুতুবুল্লারচর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হওয়ায় পথে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ যে কোন সময় বন্ধ হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
চার উপজেলার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটি ও লাখ লাখ মানুষের চলাচলের গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিয়ে সড়কগুলো রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
Discussion about this post