সাব্বির আহাম্মেদ,নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লকডাউনের প্রথম দিন অনেকটা কড়াকড়ি হলেও তৃতীয় দিন ছিল অনেকটা ঢিলেঢালা। রাস্তায় ছিল জনতার স্রোত। নগরীর ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়ায় এলাকায় দীর্ঘ সময় ছিল তীব্র যানজট। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
‘করোনাভাইরাসের ডেলটা ভেরিয়েন্ট সংক্রমন প্রতিরোধ করার জন্য ২২ জুন ভোর ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার আশেপাশে ৭টি জেলায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
লকডাউনের প্রথম দিনে বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ অনেকটাই ছিল নীরব। এ দিনে যেমন শহরের কোন মার্কেট শপিংমল বিপনী বিতান খোলা হয়নি। তেমনি রাস্তায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলও ছিল খুব স্বল্প। ফলে প্রথমদিনের লক ডাউন অনেকটাই ছিল কড়াকড়ি।
তবে তৃতীয় দিনে এসে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এদিন মার্কেটগুলো খোলা না হলেও রাস্তায় যান চলাচলের সংখ্যা ছিল দ্বিগুন। সেই সাথে সাধারণ মানুষের রাস্তায় চলাচলও ছিল অধিক। প্রথম দিনের লকডাউনে দিনভর থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টির কারণেও সাধারণ মানুষকে খুব একটা বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
কিন্তু তৃতীয় দিনে বঙ্গবন্ধু সড়কের অবৈধ হকারদের দেখা না মিললেও নগরীর অন্যান্য সড়কগুলোতে হকার বসতে দেখা গেছে। সেই সকলদোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড়ও লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নগরীর চাষাঢ়া এলাকায় সকালের দিকে যানবাহনের খুব একটা চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। নগরী থেকে কোন প্রকার গণপরিবহণ চলাচল না করলেও পন্যবাহী কার্ভাডভ্যান সহ জরুরি সেবার অন্যান্য যানবাহনেই চাষাঢ়ায় এলাকায় বিকেলে দীর্ঘ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের প্রবেশ পথ সাইনবোর্ড এলাকায় ছিল সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভীড়। সেখানে পুলিশ সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকলেও থামানো যায়নি জনস্রোত। পায়ে হেটেই সাধারণ মানুষ ছুটে চলেছে তাদের গন্তব্যে। গণপরিবহন না থাকায় অনেকেই আবার মাইক্রোবাসে করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ত্যাগ করার সময় পুলিশের জেরার মুখে পড়তে দেখা গেছে।
Discussion about this post