ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাগর ও নদীর পানি ৩ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পটুয়াখালী জেলায় ইতিমধ্যে ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর ফপাওয়া যায়নি।
এ পর্যন্ত জেলায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চরলতা, গোলবুনিয়া, চর আন্ডা, খালগোড়া, গোঙ্গীপাড়া, চর কাশেম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭৪০টি বাড়ি ঘর প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরের মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের খাওয়ার জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া যারা রোজা আছেন তাদের ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও মাশফাকুর।
পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বেঁড়িবাধ ভেঙে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৭৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারের আশ্রয় নিয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রশাসন তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, সকালে জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের সিপিপি টিমের আম্পান বিষয়ে প্রচারণাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
সিপিপি লিডার সৈয়দ মো. শাহ্ আলম (৬০) তার দুই সহযোগী নিয়ে স্থানীয় হাফেজ প্যাদার খালের অপর পাড়ে প্রচারণাকালে নদী পার হওয়ার সময় নৌকা উল্টে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা ৩ জন তীরে উঠতে পারলেও শাহ আলম নামে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এখবর লেখা পর্যন্ত তাকে তাকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস এবং কোষ্ট গার্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
Discussion about this post