রানা মুহম্মদ সোহেল,শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিক কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে বগুড়ার শাজাহানপুরে যুবলীগের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই ২২) বিকেলে উপজেলা জামে মসজিদে যুবলীগের দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বাদশা আলমগীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রন্জু,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিপুল হোসেন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহ্,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, ইমন হাসান,এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য গোলাম হোসেন,আপেল,শাহআলম,শাহাদত হোসেন,মাঝিড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) দেলোয়ার হোসেন,চুপিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান,সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান,খোট্রাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম মোহাব্বত,যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম,কাজী রাশেদ, আইনুল ইসলামসহ উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস। এ দিনটি আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। ২০০৭ সালের এই দিন ভোরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর ধানমন্ডির সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়।
দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনাসমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির মুখে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকে দিনটি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
গত দুই বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস সীমিত পরিসরে পালন করে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার নানা আয়োজনে দিনটি পালিত হচ্ছে।
পরিশেষে, প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দো’আ পরিচালনা করা হয়।দো’আ পরিচালনা করেন হাফেজ মুহম্মদ আব্দুল লতিফ।
Discussion about this post