মনিরুজ্জামান মনিরঃ
আজ শনিবার বিকালে মনোহরপুর বাজারে ইছালি রোডে আওয়ামী লীগের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলের বহর নিয়ে আসে এবং জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত করে তোলে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেশবপুর উপজেলার সংসদ সদস্য জনাব শাহীন চাকলাদার। তিনি বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবী এখন সংকটে পড়েছে। এই যুদ্ধের মূল বিষয় হল অস্ত্র বিক্রয়ের জন্য আমেরিকার এই খেলা। আমাদের দেশে প্রায় সব কিছু ইউক্রেন থেকে আসে। তবে এখনো আমাদের দেশে যে খাদ্য আছে তা দিয়ে পাঁচ থেকে দশ বছর চলবে।
আর এই সংকটে বিরোধীদলের পালে হাওয়া লেগেছে। এর মধ্যে তাদের মন্ত্রী-এমপি ও ভাগাভাগি হয়ে গেছে। আর আমার নেত্রীর উদ্দেশ্য হল এদেশের মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষায় স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়ে তোলা।
আর ভোট আসলে দেখা যাবে যে এই সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনপি বলে উনাদের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। আমরা তাদের অধীনে নির্বাচন করবো কি করে? যারা দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি।
আর যারা টকশো করে তারা আমাদের দেশকে শ্রীলংকা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা নাকি পালিয়ে যাব। এদেশে দুর্ভিক্ষ হবে। সেই ইসুকে কেন্দ্র করে তারা আন্দোলন করবে। আমরা দুই বৎসর করোনা মহামারীতে মানুষের পাশে ছিলাম এখনো আছি।
আমরা গ্রুপিং যাই করি না কেন আমার নেত্রীকে ক্ষমতায় নিতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, তিনি বলেন, বিগত সময় জেলা আওয়ামী লীগের বারবার সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলার চেয়ারম্যান থাকাকালীন শাহীন চাকলাদারের নেতৃত্বে যশোর জেলার বিএনপি’র বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হয়েছে এবং আগামী দিনেও সেই ভাবে করা হবে । আমার নেত্রী নামাজি এবং সৎ মানুষ তিনি সৎ নেত্রী হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে এ দেশের করোনার মতো মহামারীকে জয় করেছি। ভারতের মত দেশ ও আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। আমাদের এই সরকারের সময়ে দেশের মানুষ ভালোভাবে খেতে পাচ্ছে। বিগত সরকারের সময় জমিতে সার দিতে হতো পর্চা দেখিয়ে।
আমার নেত্রী এতটাই উদার যে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাসায় রেখেছে। আর সেই খালেদা জিয়া বাসায় বসে বসে ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে। বারবার এদেশে আওয়ামী লীগকেই পরীক্ষা দিতে হয়।
এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও নেত্রী বৃন্দ ।
Discussion about this post