আব্দুর রহমান পারভেজ, মৌলভীবাজার-প্রতিনিধিঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে সে লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্য়ন্ত জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বিভিন্ন হাট বাজার ও দোকানে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে সাংবাদিকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ জেলা ভোক্তা অধিকার কমিটির সদস্য বকশি ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় টিসি মার্কেট, শান্তিবাগ রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, পশ্চিমবাজার, কোর্ট রোড, শ্রীমঙ্গল রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করে ব্যবসায়ীদের সর্বনিম্ন লাভে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয় ভাউচারের সাথে বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। অনেক মানুষের আয় কম এবং অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন লাভে বিক্রয় করা জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
উক্ত তদারকি অভিযানে অনৈতিক ভাবে রসুনের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা, মূল্য তালিকা না রাখা, মূল্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত দামে চাউলসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রয় করা, ক্রয় ভাউচার সংগ্রহ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে টিসি মার্কেটে অবস্থিত জাকির পোল্ট্রিকে ৪ হাজার টাকা, পুরাতন হাসপাতাল রোডে অবস্থিত নিউ নাগ ব্রাদার্সকে ৪০ হাজার টাকা, পশ্চিমবাজারে অবস্থিত লতিফিয়া এন্টারপ্রাইজকে ২ হাজার টাকা, মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়। উক্ত অভিযানে মূল্য তালিকা না রেখে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার দায়ে আকতার নামক একজন অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিসি মার্কেটে অবস্থিত মৌলভীবাজার পোল্ট্রি হাউসকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়।
আইন অনুসারে জরিমানার ২৫%=১,০০০/- টাকা অভিযোগকারীকে প্রদান করা হয়। এছাড়াও কাকন ও মেরাজ আলি নামক দুইজন অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাক্রমে পুরাতন হাসপাতাল রোডে অবস্থিত নাগ ষ্টোরকে অতিরিক্ত দামে রসুন বিক্রি করার দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পশ্চিমবাজারে অবস্থিত ভানু ষ্টোরকে ব্যাগের দাম বেশি রাখায় ২ হাজার জরিমানা ও আদায় করা হয় এবং অভিযোগকারীদয়কে আইন অনুসারে ২৫% হিসাবে যথাক্রমে ১০ হাজার টাকা এবং ৫ শত টাকা প্রদান করা হয় । উক্ত অভিযানে সর্বমোট ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন।
Discussion about this post