মনিরুজ্জামান মনির,যশোর সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর সদর উপজেলায় পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠেছে মেলা এবং সাথে মেতেছে শিশু ও অভিভাবকেরা। পূজায় আনন্দ উপভোগ করতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শহরমুখী হচ্ছে মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, মন্দিরের পাশে জমে উঠেছে রকমারি দোকান, যারা বিকিনি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাচ্চাদের আনন্দ দিচ্ছে নাগরদোলা, নৌকা দল ও ঘুরোন্চি। বাচ্চারা এগুলোতে উঠে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করছে। কিন্তু অধিকাংশ ফুটপাত দোকানির অভিযোগ এবছর দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিকিনি অনেক কম। আবার দেখা যায় শহর ছাড়াও পূজাকে ঘিরে মেতে উঠেছে মেলায়, বাঘারপাড়া উপজেলায় খাজুরা বাজারে মেলায় আনন্দ উপভোগ করছে বাচ্চারা। সেখানেও নাগরদোলা, ঘুরন্চিতে উঠে বাচ্চারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। দেখা মেলে শহরের বেজ পাড়া পূজা মন্দিরের পাশে নাগরদোলা, নৌকা দোল, ও ঘুরোন্চি। এখানে বাচ্চারা ও অভিভাবকরা নাগরে ওঠে আনন্দ উপভোগ করছে।
মেলায় ঘুরতে আসা ছোট বাচ্চা তাসনুর জানান, নৌকায় দলকে খুব ভালো লেগেছে । সন্ধ্যার পর আবার আসবো। নাগরদোলায় ওঠার ইচ্ছা ছিল কিন্তু হয়নি। কোন জিনিস পছন্দ হলে সেটাও কিনে নিয়ে যাব বাসায়। মেলায় ঘুরতে আসা ছোট বাচ্চার সামিউল জানান, ঘুরোন্চিতে আগে কখনো উঠিনি। আজ উঠে ভালোই লেগেছে। কালকে মামার সাথে এসে আবারও উটবো। ছোট বাচ্চা অনুসঙ্খা রায় জানান, মায়ের সাথে আসছি যেটাই পছন্দ হয় সেটাই কিনবো। কেবলমাত্র কেনা শুরু করেছি।
মেলায় কসমেটিকস বিক্রেতা ইমরান জানান, বৃষ্টি বর্ষার কারণে বেশি সমস্যা। ছেলেমেয়েদের চাপ থাকলেও বৃষ্টির কারণে কোনো চাপ নেই। আজ সারাদিন ১৫/২০ হাজার টাকার বেচাকেনার আশা করছি । বাচ্চাদের খেলনা বিক্রেতা আতিয়ার জানান, বর্ষার জন্য লোকজন একটু কোম আসছে। গত বছর থেকে এবছর বেচাকেনা একটু কোম। এবছর সব জিনিসের দাম বেশির কারণে কিনছেও কম।
ফুল বিক্রেতা হকার কাজল জানান, আমি প্লাস্টিকের ও কাগজের ফুল বিক্রি করি। বাচ্চারা খুব আগ্রহ করে এই ফুলগুলো নেই। সারাদিনে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার ফুল বিক্রি করতে পারি।
খেলনা বিক্রেতা রবিন জানান, আমি ছোট বাচ্চাদের মাটির খেলনা বেচি। কিন্তু আজ তিনদিন পার হতে যাচ্ছে তেমন কোন বেচাকেনা শুরু হয়নি। মানুষ দেন কিনতেই চাচ্ছে না। আজ সারা দিনে পাঁচ হাজার টাকা মত বেচাকেনা হয়েছে।
মেলায় ঘুরতে আসা অভিভাবক অনামিকা বিশ্বাস জানান, বাচ্চাদের খেলনা পিস্তল, কাঠের গাড়ি ও প্লাস্টিকের গাড়ি কিনে দিয়েছি। পূজাতে এসে মনে খুব প্রশান্তি লাগছে। পুরা ফ্যামেলি নিয়ে আমরা আসছি।মাদুর্গাকে বলেছি আমার সংসার, ছেলেমেয়ে ভালো থাকলেই হবে। মেলায় এসে বাচ্চারা খুব আনন্দ উপভোগ করছে। মেলায় ঘুরতে আসা অভিভাবক লুরু জানান, বাচ্চারা ঘুরতে আসতে চাচ্ছিলো। তাই তাঁদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আমার বাচ্চারা নৌকাই উঠে অনেক উচ্ছ্বাস করেছে। মা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।
Discussion about this post