যশোর জেলা প্রতিনিধি :
যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের জাহিদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছে।শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
জাহিদ হোসেমন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছোট খালা মাজেদা খাতুন গত ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি তার পৈতৃক জমি পাঁচ দাগে ২৯ শতক জমি আমার নামে দানপত্র করিয়া দেন। তার পরে ওই জমির মধ্যে ৬ শতক জমিতে মাটি ভরাট করি এবং বাকি জমিতে চাষ আবাদ করতে থাকি। ২৯ শতক জমি আমার নামে নামপত্তন করা হয়। দীর্ঘ ১০ মাস পরে বন্ধকী জমি নিয়ে খালার সাথে মামার বিরোধ সৃষ্টি হলে আমার নামে দানকৃত জমিতে হক সেবা করবে বলে ঘোষণা করেন। আমার নামে থানায় একটা মারধর ও খুনের হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। থানার কর্মকর্তা এস আই রফিক সাহেব সবাইকে থানায় আসতে বলেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেয়াড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার চঞ্চল হোসেন। থানা মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দসহ আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের সামনে মামার কাছে খালার চার বিঘা জমি বন্ধক ছিল। সেই টাকা ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর পরিশোধ সাপেক্ষে খালার জমি ছেড়ে দিবে এই মর্মে মামা ইবাদত হোসেন একটা লিখিত দেন। সেই সময় হইতে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে আমার মা এবং খালারা ভোগ দখলে আছে। এর মধ্যে মামা ওই ২৯ শতক জমিতে গোপনে ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর হক সেবা মামলা দায়ের করেন। আমার মা খালাদের অভিযোগ তার ভাই একজন ভূমিদস্যু। হুমকি ধামকির মাধ্যমে তার বাবার পৈত্রিক বাস্তু ভিটা তার নামে লিখে দেবার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। দিশেহারা খালা মাজেদা খাতুন বাস্তু ভিটা লিখে দিতে সম্মত হয়। কিন্তু মামা ইবাদত হোসেন মাজেদাকে না বলে ২৩ শতক জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। ভাগ করার সময় সে জানতে পারে যে , ভিটা ছাড়াও আরোও তিন দাগে জমি লিখে নিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ছোট খালা আমাকে জমি দান করায় মামা ইবাদত হোসেন আমার নামে বারবার থানায় মারপিট , খুন জখমের মিথ্যা অভিযোগ করেন।মামা ইবাদত হোসেনের জামায় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এ জামায়কে দিয়ে আমাদেরকে উঠিয়ে নেবে বলে এবং জেল জরিমানার ভয় দেখিয়ে শ্বাসাতে থাকেন। মামা বলতে চাই ২৫ বছর পূর্বে তাদের ভাই বোনেদের মধ্যে আপোস বন্ঠন করা হয়েছে। কিন্তু আমি মা খালাদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম এজাতীয় কোন মৌখিক বা লিখিত আপোস বন্ঠন করা হইনি। আমাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই মিথ্যা অপবাদ করার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাহিদ হোসেনের খালাতো ভাই বাবুল হাসান, তৌহিদ আহম্মেদ, খালা মাজেদা এবং মামা আ. রাজ্জাক।
Discussion about this post