সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে পদবঞ্চিতদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সামনে এ ঘটনা ঘটে।এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আসাদ ফকিরকে প্রথমে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন- নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন সরকার, কামরুল হাসান, সদস্য ইসহাক, জোবায়ের মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদল নেতা পাবেল মোল্লা, মেহেদী। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তারা বিভিন্ন হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
ছাত্রদলের নেতারা জানিয়েছেন, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ হাসান ও মাসুম বিল্লাহের নির্দেশে প্রথমে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করার কথা ছিল। অন্যদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তাদের প্রতিহত করতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা সুলতান মাহমুদ ও মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান নেয়। পরে স্থান পরিবর্তন করে দাউদপুর ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল করার প্রস্তুতি নেয় নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা।
এদিকে দাউদপুরে মিছিল বের করার সময় পদবঞ্চিতদের তিনটি মোটরবাইকে ৯ জন এ পথে যাচ্ছিলেন। মিছিল করতে দেখে প্রায় শতাধিক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মিছিলে ৯ জন ধাওয়া দেয়। সবাই দৌড় দিলেও যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন সরকার, কামরুল হাসান, সদস্য ইসহাক, জোবায়ের মোল্লা, পাবেল মোল্লাসহ একটি গ্রুপ তাদের রুখে দাঁড়ায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে দুই পক্ষের আরও নেতাকর্মীরা এসে যুক্ত হন। প্রায় ১৫ মিনিট ঘরে চলে এ সংঘর্ষ।
আহত নয়ন সরকার বলেন, পদবঞ্চিতরা অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আমাদের মারধর করেছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে। হামলার আমাদের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আমি নিজে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতা ও রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া, ডাকাত ও নিষ্ক্রিয়দের দিয়ে গড়া কোনো কমিটি মানি না। কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব টাকা খেয়ে এ কমিটি করেছে। তাদেরকে আমরা উপজেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, হামলার ব্যপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে কেউ কিছু বলেনি।
Discussion about this post