সোহেল কবির, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশের কেন্দুয়াপাড়া বেপারীপাড়া জামে মসজিদের ২য় তলা ও ওজুখানার ছাদ থেকে গতকাল ৩০ জুন বুধবার সন্ধ্যায় রামদা, ছোড়া, সামুরাই, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়ালসহ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় । এসময় কাউছার (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের বালু ভরাটের কাজকে কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক এবং তার ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের সঙ্গে কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ইতিপূর্বে কয়েকদফা সংর্ঘষ ও একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। গত ২৯ জুন মঙ্গলবার দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০/১২ জন আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে দু’পক্ষের লোকজন ছটকে পরে। এসময় সফিকুল গ্রুপের সন্ত্রাসী কাওছার হোসেনকে আটক করে পুলিশ । পরে তার দেখানো তথ্য মতে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫) ও কাওছার হোসেন সহ ১৯ জনকে এজহার নামীয় ও ১০০/১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কাওছার হোসেনকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেলার (গ) সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক গ্রুপের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলছে এরই ধারাবাহিকতায় পুনরায় মহড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে অস্ত্রগুলো মজুদ করে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ১৯ জনকে এজহার নামীয় ও ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মজুদকৃত অস্ত্রের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Discussion about this post