মনিরুজ্জামান মনির,যশোর সদর প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর যশোর সদর উপজেলা লেবুতলা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী -তেলকূপ পর্যন্ত সেই সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার ম্যাডামের কাজ প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে ।এরাস্তার দুই পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়ে থাকে। যা বিগত সময় রাস্তার কাঁদার কারণে কৃষকদের বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়তে হতো। না, পেত যানবাহন ,না পারতো সময় মতো বাজারে পৌঁছাতে। বাজারে পৌঁছালেও সবজি অনেকটাই থেতো হয়ে যেত। যার কারণে সবজির দাম পেত না কৃষকেরা। এমন অভিযোগ কৃষকের।এখন তারা মনে অনেক শস্তি পেয়েছে। এলাকার অনেক কৃষক পত্রিকাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।যা যশোর শহরের সাথে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার ব্যবধান কমে আসবে এবং মেইন রোডের চাপ অনেক কমে যাবে । এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে । বিভিন্ন পত্র- পত্রিকায় বারবার এই রাস্তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরার পরই টনক নড়েছে উপর মহলের ।
গত বছর (২৩ অক্টোবর) লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে রাস্তাটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। আজ সে রাস্তার ম্যাকাডামের কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। বেশি আনন্দিত হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা।
লেবুতলা গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান জানান, বাজারে সবজি নিতে অনেক সহজ হবে। কাদাপানির সময় কোন ভ্যান পাওয়া যায় না। এখন আর এই সমস্যায় পড়তে হবে না। বড় বড় ব্যাপারীরাও মাঠে ট্রাক লোড দিতে পারবে। রাস্তা হওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত।
ভ্যানচালক জসিম জানান, এখন ভাড়াও বেশি হবে, তাড়াতাড়ি বাজারেও যাতি পারবো। আগে একটা ভাড়া মারলি আর ভাড়া মারার কথা মনে থাকে না। কয়েকদিন আগেও এ রাস্তা দিয়ে যাতি ভয় পেতাম ।
রাস্তার কাজের ম্যানেজার মেজবাহুল মিন্টু জানান, পানির খুব সমস্যা। বর্ষার সময় হলেও কোন খানা গর্তে পানি নেই। যার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পানি বেশি পরিমাণ না হলেও ম্যাকাডাম আবার টাইট হবে না। অনেক দূর থেকে ট্যাংকি করে পানি দিয়ে রুলার করে যাচ্ছি। বৃষ্টি হলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো।
ঠিকাদার সাঈদ জানান, এবছর কোন বৃষ্টি নেই। পানি সংগ্রহ করা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার পরেও এলাকার কৃষকদের দিকে তাকিয়ে একটু খরচ বেশি হলেও দ্রুত ম্যাকাডাম এর কাজ শেষ করে যাচ্ছি।
Discussion about this post