রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আজিজুর রহমান ভোলা (৪৮) নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ (১ আগষ্ট ২২) বিকেল ৪ টায় শাজাহানপুর উপজেলা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার সুজাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আজিজুর রহমান ভোলা লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন,আমার বোন মমেনা বেগম (৩২) গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে প্রায় ১ বছর যাবত জর্ডান প্রবাসী।স্বামী পরিত্যক্তা মমেনা প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাবা ছমির উদ্দিনের কাছ থেকে ২ শতক জমি কেনেন এবং ১বছর আগে নিজের কেনা জমিতে বাড়ি নির্মানের সিদ্ধান্ত নেন।সে সময় প্রতিবেশি বাসিন্দা মোছাঃ গোলাপী বেগম চলাচলের রাস্তার জন্য পৌর কাউন্সিলরের নিকট আবেদন করেন।কাউন্সিলর উভয় জমির মালিককে ৩ ফুট চলাচলের রাস্তা রেখে বাড়ি নির্মান করতে মতামত দেন।এরপর আমার বোন মমেনা বেগম আমাকে বাড়ি নির্মানের দায়িত্ব দিয়ে জর্ডানে পাড়ি জমান।
পৌর কাউন্সিলরের মতামতের ভিত্তিতে ৩ ফুট চলাচলের রাস্তা রেখে আমি বাড়ি নির্মান করি। এরপর গোলাপী বেগম পুনরায় রাস্তা বৃদ্ধির জন্য মেয়র বরাবর আবেদন করেন।
৬ মাস আগে পৌর মেয়র জনাব রেজাউল করিম বাদশা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং উভয় পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে রাস্তা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
লিখিত বক্তবে তিনি আরোও বলেন,গোলাপী বেগম সমঝোতায় না এসে তার ভাড়া করা ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে গত ৩০/০৭/২০২২ ইং শনিবার সোয়া ৩ টার সময় মমেনার নির্মাণধীন বসতবাড়ির ওয়ালের উত্তরপাশের অংশ ভেঙ্গে ফেলে।এতে বাঁধা দিতে গিলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার উপর হামলা করে।আমার বড় বোন মেলেনাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।এ সময় আমার ভাগিনা মমেনার ছেলে মুন্না (১৭)কে মারপিট করে আহত করে এবং মমেনার বসতবাড়িতে ঢুকে ১ ভরি স্বর্ণ, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা,৪ টি মোবাইল সেট লুট করে।
এক সময় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীদের গণপিটুনি দেয়।এ সময় মোটরসাইকেল সহ বাবু (৩৪) ও রমজান (৩৫) নামের দুই হামলাকারীকে আটক করে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার পর আমার ভাগিনা ও বোনকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করি।এ ঘটনায় মেলেনার ছেলে মোঃরবিউল ইসলাম বাদি হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ দায়েরের পর থেকে হামলাকারীরা আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Discussion about this post