রানা মুহম্মদ সোহেল,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদলা ইউনিয়নে দড়িনন্দ পশ্চিম পাড়ায় ছাইদুর রহমান ও তার পুত্র সোহেল রানাকে হত্যা চেষ্টায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
আহত ছাইদুর রহমানের ছোটছেলে সবুজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা ও পারিপারিক সূত্রে জানা যায়,পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টার সময় আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর করে এতে ভিকটিম সবুজের বড় ভাই সোহেল রানা ও বাবা সাইদুর নিষেধ করলে তাদেরকে এলোপাথারি মারতে থাকে।এরপর ভিকটিম সোহেল রানাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে মাথায় কোপ দেয় এতে তার মাথায় মারাত্মকভাবে কেটে যায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
উক্ত সময় ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চত করতে তাকে লোহাড় রড দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করতে থাকে এবং ভিকটিম সোহেলের মৃত্যু নিশ্চিতভেবে তার কাছ থেকে গরু কেনার ১৫০০০০/ (দেড় লক্ষ)টাকা হাতিয়ে নেয়।এ সময় সোহেলের পিতা সাইদুর রহমান এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারি মারপিট করতে থাকে।এ সময় বাবা ছেলের চিৎকারে তার পিতাছলের স্ত্রী এগিয়ে আসলে তার পড়নের কাপড় ধরে টানাটানি করে তাকে শ্লীলতাহানি করে।আসামিগণ ভিকটিমের বাড়িঘর ভাংচুর বাবদ প্রায় ৭০০০০/- (সত্তর) টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ সময় বাদীদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে (১) নম্বর আসামি জুয়েল রানাসহ বাকি আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়।
এ সময় প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়,বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ছাইদুর রহমানের ছোট ছেলে সবুজ সাত জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।এরপর থেকে আসামিরা ভিকটিম পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে নানা সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিম পরিবারটি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকী আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Discussion about this post