জাকির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শায় ব্যক্তি মালিকানায় লাগানো গাছ ব্যাপারির নিকট বিক্রিকালে সরকারি রাস্তার গাছ দাবি করে জেলা পরিষদ কাটা গাছ উদ্ধার করে তাদের জিম্মায় নিয়েছে। উদ্ধারকৃত ওই গাছের গুড়ি ঝিকরগাছা ব্যাংদহ ডাকবাংলোয় রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের সাড়াতলা-ছুটিপুর সড়কের গৌকর্ণ গ্রামের গৌকর্ণ হাফেজী ও এতিমখানার সামনে পাকা রাস্তার পাশে গ্রামের মৃত হাজের আলী মোড়লের ছেলে হাজী মোহাম্মদ আলী নিজ জমিতে বেশ কয়েক বছর আগে কিছু শিশু গাছ লাগান। এখন সেই গাছ বেশ বড়ও হয়ে গেছে। তিনি তার লাগানো শিশু গাছের মধ্য থেকে রাস্তার পাশের একটি গাছ স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ির নিকট ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। গাছ বিক্রির পুরো টাকা তিনি গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য দান করবেন বলে ঘোষণা দেন। কাঠ ব্যবসায়ি ক্রয়কৃত শিশু গাছটি কেটে শনিবার সকালে ট্রলিযোগে সাড়াতলা বাজারের অদূরে স’মিলে রাখার উদ্দেশ্যে আনেন। এ সময় যশোর জেলা পরিষদের কর্মচারি কেয়ারটেকার আরিফুল ইসলাম সরকারি রাস্তার গাছ (জেলা পরিষদ) দাবি করে পাকা রাস্তার উপর ট্রলিতে রাখা গাছের তিনটি বড় গুড়ি উদ্ধার করে নিজ জিম্মায় নেন।
গৌকর্ণ গ্রামের আমিরুল ও তরিকুলসহ অনেকে বলেন, মোহাম্মদ আলী হাজী সাহেবের শিশু গাছ বেঁচা পুরো টাকা গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নকাজে দান করার কথা ছিল।
কাঠ ব্যবসায়ি আরমান জানান, গৌকর্ণ গ্রামের হাজী মোহাম্মদ আলীর নিকট থেকে তার জমির উপর লাগানো রাস্তার পাশ থেকে একটি বড় শিশু গাছ ১৩ হাজার টাকায় ক্রয় করি। গাছটি মারাসহ আনুষঙ্গিক আমার আরও ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। এখন জেলা পরিষদের লোক এসে বলছে এটি সরকারি রাস্তার গাছ।
যশোর জেলা পরিষদের কর্মচারি কেয়ারটেকার আরিফুল ইসলাম স্পট থেকে জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সরকারি রাস্তার একটি শিশু গাছের তিনটি বড় গুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গুড়িগুলি ঝিকরগাছা ব্যাংদহ ডাকবাংলোতে রাখা হবে।
Discussion about this post