মনিরুজ্জামান মনির, যশোর সদর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
লেবুতলা ইউনিয়নে প্রাকৃতিক পাখি শিকারিদের হাতে প্রতিনিয়ত শতশত মারা পড়ছে। প্রকৃতির এক সৌন্দর্য হলো প্রাকৃতিক পাখি। আর এই পাখির প্রায় বিলীন হতে চলেছে এইউনিয়ন থেকে। অসৎ লোকেরা বিভিন্ন সময় এই পাখিগুলো স্বীকার করে চলেছে।
বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলা বীর নারায়নপুর গ্রামের মসজিদের সামনে দুইজন লোক পাখি শিকার করতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন নিষেধ করলেও তারা পাখিমারা বন্ধ করেনি। বরং তারা বলে আমরা তো ক্যাম্পের সামনে দিয়ে আসছি কই তারা তো নিষেধ করে নি? আপনাদের কথায় কি পাখি মারা বন্ধ করবো । এভাবেই স্থানীয় লোকদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেও তারা পাখি মারতেই থাকে।
পাখি শিকারের ফাঁদ তৈরি করে গাছে গাছে দিয়ে রাখে এবং তারা নিচেই অপেক্ষা করে কখন পাখি ফাঁদে আটকা পড়ে। এমনিভাবে প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করে যাচ্ছে ওসমান পুর গ্রামের আব্দুল হান্নান এবং ইউসুফ আলী।
এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ,পাখি মারলে কি হয়? মাঝেমধ্যে পাখি মারতে আসি। পাখি মারতে আমাদের খুব ভালো লাগে ।
ইউসুফ আলী স্থানীয় লোকদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। স্থানীয় লোকদের অভিযোগ তারা নিয়মিত পাখি মারতে আসে।
স্থানীয় জামাল হোসেন লিটু জানান, অনেকবার তাদের নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আড়ি করে পাখি মারতে থাকে। আজো তাদের নিষেধ করলে বিভিন্ন উল্টোপাল্টা কথা বলেছে। পাখিমারা আইনের কথা বললে তারা বলে আমরা পুলিশের সামনে পাখি মারি। তারা তো কিছু বলে না।
বীর নারায়নপুর গ্রামের ইমন জানান, প্রায়ই দেখি এই লোক দুইজন বিভিন্ন বাগান থেকে পাখি মারে। আমরা নিষেধ করলেও শোনে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পাখি মারা বন্ধ করতে হবে। গ্রাম্য ডাক্তার আমিনুর তাদের বুঝিয়ে বলার পরও তারা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে পাখি শিকার করেছে। তাদের খেঁচায় কয়েকটি পাখিও দেখা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এইভাবে পাখি শিকার করলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলীন হয়ে যাবে। তাই বনবিভাগ যেন দ্রুত পাখি শিকার করা বন্ধ করার ব্যবস্থা করে।
Discussion about this post