জাকির হোসেন, যশোর প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতিতে ঠান্ডা ভাব জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এই ঠান্ডা ভাব অপেক্ষাকৃত শহরের থেকে গ্রামাঞ্চলে একটু বেশিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অগ্রহায়ণের পড়ন্ত বিকাল হতেই হিমেল বাতাসে শরীরে শীতল ভাব অনুভূত হওয়ায় সন্ধ্যা থেকেই গরম কাপড়ের প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। সেই সাথে রাতে মানব শরীরকে ঠান্ডা থেকে গরমের উষ্ণতা পেতে কাঁথা, লেপ ও কম্বল অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। শীতের আগমনীতে তাই এই মূহুর্তে যশোরের শার্শায় লেপ-তোষক তৈরীর কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণে। বর্তমানে লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা যায়, শীত আগমনীতে উপজেলার শার্শা, নাভারণ, বেনাপোল, বাগআঁচড়াসহ গ্রাম্য হাট বাজারের লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষজন তাদের পরিবারের চাহিদা ও নতুন মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে পাঠানোর জন্য পছন্দনুযায়ী লেপ-তোষক কিনছেন এবং অর্ডার দিচ্ছেন। বড় বড় দোকান গুলোতে আগে ভাগেই লেপ-তোষক,বালিশ ও কোলবালিশের উপকরণ কাপড় ও তুলার মাননুযায়ী কারিগররা তৈরি করে রেখেছেন। যা দোকান গুলোতে গেলেই সময়ক্ষেপন ছাড়াই সহজে কিনতে পারছেন। আর যারা খুব ভাল মানের কাপড় তুলা নিতে চান তারা দোকান গুলোতে অর্ডার করছেন।
কথা হয় উপজেলার সাড়াতলা বাজারের কানু প্লাজার রাইসা বেডিং হাউজে লেপ-তোষক কিনতে আসা ডিহি গ্রামের আশুরা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, মেয়ে জামাইকে দিবো বলে নতুন লেপ-তোষক কিনতে এসেছি। তবে দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তবুও কিনতে হবে।
ডাক্তার তরিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির জন্য একটি লেপ কিনতে হবে। রাইসা বেডিং হাউজের মালিক মোরশেদ আলী ও কারিগর মাসুম বিল্লাল সমাজের কথাকে বলেন, শীত আগমনীতে দোকানে কাস্টমাররা ভীড় করতে শুরু করেছেন। তাদের পছন্দমত লেপ-তোষক, বালিশ ও কোলবালিশ কিনছেন এবং অর্ডার করছেন। এখনো পর্যন্ত ২৫-৩০ টার মত লেপ-তোষক বিক্রি করতে পেরেছি। ভাল অর্ডারও পাচ্ছি। আশা করি চলতি বছর বেঁচা বিক্রি বেশ ভালই হবে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপ-তোষকের উপকরণ কাপড়, তুলা ও কারিগরের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু বেশি হচ্ছে। গত বছর ৪-৫ হাতের একটি লেপ ১১০০ হতে ১২০০ টাকা ও তোষক ২৩০০ হতে ২৪০০ টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আর এ বছর ওই একই সাইজের লেপ ১৪০০ হতে ১৫০০ টাকা এবং তোষক ২৮০০ হতে ৩০০০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
একই ধরণের কথা বলেন, নাভারণ বাজারের সৌখিন বস্ত্র বিতান এন্ড বেডিং সপ ও জনপ্রিয় গার্মেন্টস এন্ড বেডিং হাউজের মালিক এবং কারিগররা।
এ বছর বৃষ্টিপাত তুলনা মূলক কম হওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে লেপ-তোষক বেশি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই মনে করছেন কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।
Discussion about this post