এস.এম আরিফুল ইসলাম আরিফঃ
পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের “কবর “কবিতার বাস্তব রূপ এখন ঝিনাইদহ শৈলকুপা কাজিপাড়া গ্রামে।
ছেলে, মা ও নানার মৃত্যুতে শোক জানানোর কেও নেই। লাশ পড়ে আছে ঘরের এক কনে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশী কেও নেই লাশের পাশে, এমন কি দুঃখ প্রকাশ করার মত কেও নেই। কে কাটবে কবর, কে করবে জানাজা, কে করবে দাফন! মৃত্যুপুরিতে রূপ নিয়েছে এই বাড়িটি। ঘটনাটা ঘটেছে।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ১৫নং ফুলহরি ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ দিনের ভিতর একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু। পরিবারটিতে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয় জিহাদ(১৪) দিয়ে। তার মৃত্যু হয় ২০ জুন রোজ রবিবার। এরপর বৃহস্পতিবার ২৪ জনু মৃত্যু হয় জিহাদের মা রোখসানা(৪৮) সর্বশেষ আজ সকাল ৫ টার সময় মারা গেছে রোখসানার বাবা সৈয়দ মাহাবুব হোসেন(৬৫)।
সৈয়দ মাহাবুব হোসেন এর লাশ বাড়িতে পড়েছিলো।তার লাশ দেখতে বা দাফন কাফনে সাহায্য করার জন্য কেও তার বাড়িতে আসেনি। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুনের নির্দেশে উপজেলা প্যাথলজি বিভাগের টিম নিহত সৈয়দ মাহাবুব হোসেন এর নমুনা তার নিজ বাড়িতে এসে সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এবং এন্টি জেন রিপোর্টে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সৈয়দ মাহাবুব হোসেনের দাফন করা হয়েছে।
Discussion about this post