নারায়ণগন্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) কবির হোসেনকে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মোকাবেলায় সরকারী ত্রাণ আত্নসাতের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি ভাটিবন্দর গ্রামের মো: আনছর আলীর পুত্র। অদ্য ১২ এপ্রিল রবিবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: কবির হোসেন করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ বিতরণ না করে আত্মসাৎ এবং গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রস্তাব মোতাবেক ৩৬৬ নং প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪) (খ)(ঘ) ধারার অপরাধে তাকে কেন তার পদ থেকে চুড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তার পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাবপত্র জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, কবির হোসেন নামের এই ইউপি সদস্যকে বহিস্কারের বিষয়টি সোনারগাঁয়ের জনপ্রতিনিধিদের জন্য বিপদ সংকেত। যাতে ভবিষ্যতে কেউ সরকারী ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করলে ছাড় দেয়া হবে না।
কবির মেম্বারের সরকারী ত্রান আত্নসাৎ করার বিষয়ে গরীবের উকিল নামে খ্যাত এডভোকেট মো: ফিরোজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বর্তমান এই মহামারীর সময়ে যারা সরকারের ত্রান চুরি বা আত্নসাৎ করছেন তারা ১৯৭১ সালের মতো ২০২০ সালের রাজাকার এবং তাদের কঠিন শাস্তির দাবী করছি এবং আমি জাতীর কাছে ওয়াদা করেছি কোন ত্রান চোর বা আত্নসাৎকারীর পক্ষে কোন আইনি লড়াই করবো না বরং তার বিপক্ষে মামলা পরিচালনা করব বিনা টাকায়।
Discussion about this post