নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোনারগাঁওয়ের আওয়ামীলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ ও সাধারন কর্মীরা দূর্বল বলে অভিহিত করেছেন এবং তাদের নেতৃত্বের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়েও অনেক তৃণমূলের কর্মীরা শংসয় প্রকাশ করেছেন৷
মূলত ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূল থেকে উঠে আসা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান কালাম কে নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির কিছু নেতৃবৃন্দ তাকে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে মাইনাসের জন্য বেশ কিছুদিন যাবৎ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে তৃণমূল আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ ও কর্মীবৃন্দ এবং সাধারন আওয়ামীলীগের সাপোর্টাররা তা মেনে নিতে পারেনি তাই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে যার মতো করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং তাদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা হতাশার সূরে আশংকা প্রকাশ করে বলেন এইভাবে দল ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করলে এবং তৃণমূলের দাবিকে অগ্রাহ্য করলে কেন্দ্র থেকে সোনারগাঁওয়ে আবারো নৌকার নমিনেশন না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ আবারো নৌকা প্রার্থী পাওয়া থেকে এবং স্বাধীনতার মার্কা নৌকায় ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারে৷
সর্বশেষ ২০০৪ সালের বর্বরোচিত ২১-শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ সভায় অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন যার বক্তব্য শোনার জন্য যার দিকনির্দেশনা পাওয়ার জন্য আমরা অনেক দূর থেকে নিজ পকেটের অর্থ খরচ করে ও জরুরী কাজ ফেলে দলের প্রতি ও ২১-শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রতিবাদ সভায় যোগ দেই এখানে এসে দেখি তিনি উপস্থিত নেই যার কারণে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। সেইসাথে তারা এও বলেন বর্তমান কমিটিতে তৃণমূলকে দিকনির্দেশনা দেয়ার মতো ও দলকে দক্ষ ভাবে পরিচালনা করার মতো তেমন কোনো যোগ্য নেতৃত্ব নেই যারা আছে তাদেরকে হাইব্রিড রাই ঘিরে রেখেছে বলতে গেলে এই কমিটির কাছে তৃণমূলের চাহিদা ও দাবির কোনো মূল্যই নেই৷
তাদের কথার প্রমান মেলে পরেরদিন ২২-শে আগস্ট। উল্লেখ্য ২১-শে আগস্টের প্রতিবাদ সভায় জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা এবং আওয়ামীলীগ মনোনীত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বৃন্দরা বলেছিলেন বিএনপিকে মাঠে নামতে দেয়া হবেনা কিন্তু এর পরেরদিনই বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের শক্তিমত্তার জানান দিতে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের নিয়ে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করে বাম জোটের ডাকা হরতালকে সমর্থন করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এই দেখে আওয়ামিলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যোগ্যতা ও নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন কেনো তারা তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলোনা কেনো তারা ২১-শে আগস্ট বড় বড় ভাষন দিয়ে ২২-শে আগস্ট তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে থাকলোনা। তাই অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী এই আহ্বায়ক কমিটির অযোগ্য, অদক্ষ নেতৃত্বের অবসান চেয়ে যোগ্যদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি জানায় যাদের ইতিমধ্যেই দল পরিচালনার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার দক্ষতা রয়েছে৷ এবং সেইসাথে সকল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান। তা না হলে তারা বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্ব মানবেনা এবং প্রয়োজনে তৃণমূলের দাবি আদায়ে রাজপথে নামারও ঘোষণা দেন৷ তারা দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারী ও বিভেদ সৃষ্টিকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার ও পদত্যাগের দাবি জানান৷
Discussion about this post