নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বেশ কয়েকদিন যাবৎ সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম কে মাইনাসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে তাই নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে তৃণমূল থেকে প্রথমে আশরাফুল ইসলাম তাওহীদ নামে এক কর্মী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাজনীতিতে তার অবদান ও ত্যাগ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় যা মূহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেকেই তার স্ট্যাটাসটি কপি ও শেয়ার করে এর প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাতে থাকে নিচে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ-
“আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান কালাম সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ৩ যুগের রাজনীতি কৈশোর,যৌবন,বর্তমান সবকিছুই উজার করেছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতির জন্য। তিনি যখন রাজনীতিতে আসেন আমার মতো হাজারো আওয়ামী কর্মীর তখন জন্মও হয়নি এবং বর্তমান অনেক ভুঁইফোঁড় আওয়ামিলীগ নেতার অস্তিত্ব ও ছিলোনা। সোনারগাঁও আওয়ামিলীগের দূর্দিনে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবারকে অজানা আশঙ্কায় রেখে দলের জন্য, দল গোছানোর জন্য, দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য, দলকে শক্তিশালী করার জন্য জোট সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সোনারগাঁওয়ের প্রতিটি মাটিতে গিয়েছেন সবার সাথে কথা বলেছেন। সোনারগাঁওয়ের এমন কোনো মাটি নেই যেখানে দলের জন্য তার পা স্পর্শ করেনি৷
সোনারগাঁওয়ের আরেক কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ মরহুম আবুল হাসনাত সাহেবের মৃত্যুর পর যখন এই উপজেলার আওয়ামিলীগের নেতৃবৃন্দ অগোছালো ছিলো তখন তিনি মরহুম আব্দুল হাই সাহেবকে সাথে নিয়ে সবাইকে গুছিয়ে রেখেছিলেন এবং জোট সরকারের আমলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন৷
যখন ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সোনারগাঁওয়ের পাশাপাশি সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে একত্রিত করা হয় এবং সোনারগাঁওয় আওয়ামিলীগের সকল নেতাকর্মীদের ফলপ্রসূ আন্দোলনে আবুল হাসনাত সাহেবের সুযোগ্য সন্তান আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত কে নৌকা প্রার্থী করা হয় তখন তিনি সোনারগাঁও – সিদ্ধিরগঞ্জ সকল এলাকায় নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলের প্রার্থীর পক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও হ্যাভিওয়েট প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিমের পরাজয়ে এবং কায়সার হাসনাত ভাইয়ের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এবং তার পরিশ্রম স্বরুপ সোনারগাঁও বাসী নৌকার সাংসদ পায়।
তিনি যখন রাজনীতিতে আসেন আমার মতো বর্তমানে হাজারো কর্মী তখন জন্মগ্রহণ করেনি এবং যারা তার রাজনৈতিক কৌশল ও দল পরিচালনার দক্ষতা কাছ থেকে দেখেছেন সেই মুরুব্বিরা কখনো দলের প্রতি তার অবদান অস্বীকার করতে পারবেনা৷
বর্তমান ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠন ও নবীন আওয়ামিলীগার রা দলের প্রতি তার আনুগত্য এবং দল পরিচালনার দক্ষতা আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ভূমিকার কথা শুনে বড় হয়েছে এবং তার করণে ও অবদানে তার নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সোনারগাঁওয়ের হাজারো সাধারন মানুষ দলে যোগদান করে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে অত্যন্ত দূঃখের সাথে একটি বিষয় লক্ষ্য করা হচ্ছে সোনারগাঁওয়ের দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মীরজাফর – মোশতাকের প্রেতাত্মারা সোনারগাঁওয়ের রাজনীতিতে তাকে মাইনাস করার চেষ্টা করছে যা সোনারগাঁও আওয়ামিলীগ এর রাজনীতির জন্য অশনী সংকেত।
একটি প্রবাদ আছে গাছকে উপড়ে ফেলতে হলে তার ডালপালা না কেটে একেবারে শেকড় থেকে তাকে উপড়ে ফেলতে হবে বর্তমানে সোনারগাঁওয়ের রাজনীতিতে একই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ সোনারগাঁও আওয়ামিলীগ যদি একটি গাছ হয় কালাম ভাই হচ্ছেন তার শেকড়। কিন্তু ওই ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য একটি দূঃসংবাদ হচ্ছে এই শেকড় ও তার শাখা এতটাই শক্ত যে হাজার চেষ্টা করলেও তা উপড়ে ফেলতে পারবেন না। আপনারা তাকে যদি আঘাত বিন্দুমাত্র ক্ষতি করার চেষ্টা করেন আমার মতো হাজারো নেতাকর্মী তার ঢাল হিসেবে দাড়াবে৷
সুতরাং আবারো সাবধান করতে চাই তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলে সোনারগাঁও আওয়ামিলীগের আমার মতো হাজারো নেতাকর্মী যারা তৃনমুল থেকে তার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছে তাদেরকে প্রথমে মোকাবেলা করতে হবে৷
পরিশেষে ঐ মীরজাফর – মোশতাকের প্রেতাত্মাদের বলতে চাই তৃণমূল থেকে উঠে আসা তৃণমূলের অহংকার কালাম ভাইয়ের একডাকে তার এক ইশারায় ঐ সকল মীরজাফর – মোশতাকের প্রেতাত্মাদের উচ্ছেদ করার জন্য এবং সোনারগাঁও আওয়ামিলীগকে তাদের কালো থাবা থেকে রক্ষা করার জন্য রাজপথে আমার মতো হাজারো নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছে শুধুমাত্র তার একটি আদেশই যথেষ্ট।
সুতরাং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে হলে আগে তার হাতে গড়া তৃণমূল আওয়ামিলীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীকে মোকাবেলা করতে হবে। এবং সসম্মানে আওয়ামিলীগের রাজনীতি করতে হলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন আপনাদের আগেও অনেকে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলো বর্তমানে তাদের কিন্তু কোনো অস্তিত্বই নেই৷ আপনাদের ও থাকবেনা ইনশাআল্লাহ৷
Discussion about this post