সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলউল্ল্যাহকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। তাকে হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় থেকে জামপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে বদলি করা হয়। পাশাপাশি জামপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান মুন্সিকে হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
“ঘুষ দাবির ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত” এ শিরোনামে গত ১১ অক্টোবর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে টনক নড়ে। দীর্ঘ এক মাস পর ভূমি কর্তকর্তা ইব্রাহিম খলিলউল্ল্যাহকে এ কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়। বদলির আদেশে জেলা প্রশাসক জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও উভয় কর্মকর্তাদের আগামী ১৬ নভেম্বর নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৬ নভেম্বর তাৎক্ষনিক অবমুক্ত হিসেবে গন্য হবেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আদেশটি ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১০জনকে অনুলিপি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য সোনারগাঁয়ে অবস্থিত মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাষ্ট্রিজের সিনিয়র ম্যানেজার (ল্যান্ড)আবু মূছা চৌধুরী হোসেনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও ঘুষ দাবি তুলে ধরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরাফাত মোহাম্মদ নোমান এ অভিযোগের তদন্ত করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সোনারগাঁ সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাষ্ট্রিজের সিনিয়র ম্যানেজার (ল্যান্ড)আবু মূছা চৌধুরী বলেন, দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়েছে।
Discussion about this post