যশোর জেলা প্রতিনিধি, মনিরুজ্জামান মনির :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও ইজরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের বিভক্তির সুযোগ নিয়েই ইজরাইজ গাজা, জেরুজালেমে গনহত্যা চালাতে পারছে। ইজরাইলের যত শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্রই থাকুক না কেন, তারা হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথি’র মতো ছোট ছোট গ্রুপের সাথেও পেরে ওঠে না। মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হলে ইজরাইল নামক রাষ্ট্রের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ও ইজরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক বেনজির খাঁন এ আশাব্যক্ত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) বিকেলে যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্ত্বরে প্রাচ্যসংঘের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রাচ্যসংঘ সংগঠনের সভাপতি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে প্রাচ্যসংঘের শিল্পীরা প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশন করেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রাচ্যসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান। তিনি বলেন, ইজরাইল আজ সারা পৃথিবীর মুসলমানদের বিভক্তির সুযোগ নিয়েই প্যালেস্টাইন, গাজা, এবং জেরুজালেমে গনহত্যা চালাচ্ছে। এই জঙ্গি ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ঘর ধংস করে ৩৫ হাজার শিশু এবং নারীদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। ইহুদীরাই বিশ্বের বিতাড়িত দল যারা মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই যাচ্ছে। আর এ সময় সারা পৃথিবীতে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে মুসলমানরা ছাড়াও খ্রিস্টান, হিন্দু, বৈদ্ধসহ সব ধর্ম বর্ণের লাখ লাখ মানুষ অংশ নিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়া সত্বেও এখানে ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় তেমন কোন বিক্ষোভ, সমাবেশ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠন ও ইজরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র গঠনের জন্য সারা পৃথিবীর মুসলমানদের প্রতিটি কণ্ঠ, প্রতিটি পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা যতো দ্রুত আমরা বুঝতে পারবো, ততো দ্রুতই জায়নবাদী ইহুদীদের হাত থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য দেন, প্রাচ্যসংঘের সাধারণ সম্পাদক খবির উদ্দিন সুইট এবং সদস্য প্রফেসর কার্তিক চন্দ্র রায়।
Discussion about this post