নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নদীবেষ্টিত বারদী ইউনিয়নের চরাঞ্চল নুনেরটেক গ্রামে সরকারি অনুমতি ছাড়াই বুধবার থেকে শুরু হয়েছে লালপুরীর ৪৭ তম ওরশ। এ উপলক্ষ্যে ওই স্থানে বসেছে তিনদিন ব্যাপী মেলা। এ মেলায় গাঁজা ও জুয়ার আসরও বসেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও জন সমাগম না করতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও লালপুরীর মাজারে মানা হচ্ছে না কিছুই। উপচে পরা মানুষের ভিরে স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকার কারনে ওই স্থানে যত্রতত্র বসেছে গাঁজা ও জুয়ার আসর। এছাড়াও রাতের আধারে বিভিন্ন অপকর্মও চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গাঁজার ধোয়ায় নাক মুখ বন্ধ হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। এছাড়াও গাঁজার দুগন্ধে ওই এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে।
লালপুরী দরবার শরীফের গদীনশীন পীর হযরত মাওলানা খাজা মোহাম্মদ মুঈনুদ্দীন চিশতী জানান, মাস্ক ছাড়া দরবার চত্ত্বরে প্রবেশ করছে না কেউ। অসুস্থ ও রোগী দরবারে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা পানি সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে প্রবেশ পথে আছেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইসলামী কাজকর্ম হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমাদের কোন সরকারি অনুমতি লাগে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান জানান, আমরা সাংসদকে বিষয়টি জানিয়েই মেলা বসিয়েছি। আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য জাকারিয়া বলেন, সীমিত পরিসরে করছি তাই কোন পোস্টার, কার্ড করি নাই এখানে অনুমতির কি আছে?
সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে এ মেলার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের সাথে কয়েকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Discussion about this post