আরিফ হোসাইন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামে, ২০১৫ সালে গড়ে উঠেছে, তাহাজ উদ্দিন স্মৃতি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়।এই বিদ্যালয় প্রয় ২০০শ’র বেশি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই শিশুদের সকল খরচ বহন করছে, স্কুল কমিটিরে সদস্য ও শিক্ষকমন্ডলীরা। নিজ খরচে শিশুদের যাওয়া আসা ব্যবস্থা, দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা সহ সকল খরচ বহন করছে, নেই কোন সরকারি সহযোগিতা , নেই বিদেশের সহযোগিতা। নিজেদের উদ্যোগেই চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সকলের একটাই আশা আমাদের এই স্বপ্নের স্কুলটি, সরকারি তালিকাভুক্ত হবে। সব শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মকর্তারা মনে প্রাণে আস্থা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে স্কুলটির উন্নয়নের জন্য।
এই স্কুলে কর্মকর্তা কর্মচারী আছে প্রায় ২৯ জন, তারা সবাই মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। অধিকাংশই মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা হিসাব আছে। তার নিজে ভাই বোন ও সন্তানের মতোই ভালোবাসে পাঠ দান দিয়ে থাকেন।
সবাই একটাই আশা নিয়ে বুক বেধে আছে, বিদ্যালয়টি তালিকা ভুক্ত হবে। সব কর্মকর্তা কর্মচারীরা বেতন ভাতা পাবে, সবাই স্বাবলম্বী হবে। এই জন্য নিষ্টার সাথে কাজ করে যাচ্ছে ২০১৫ সাল থেকে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি স্কুলের সকল শিশুদের মাঝে বই বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বই বিতরণে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমদাদুল হক, সহকারী শিক্ষিকা রাবিয়া বসরী,অফিস সহকারী মোঃ অনিক মাহমুদ সহ উপস্থিত ছিলেন মীম ইয়াসমিন,মোঃ মাজেদ শাহ্,আসমা বেগম সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোঃ মশিয়ার রহমান এই কর্মসূচিটা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে এবং সমাজের অবহেলিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার মূল লক্ষ্যই তাহাজ উদ্দিন স্মৃতি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের। এ সকল ভালো কাজের ফল পাচ্ছে না। কিছু সমাজ ধ্বংসকারী লোকজনদের জন্য,
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী স্কুলের নাম করে কিছু অসাধু প্রতারক ব্যাক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা, যার জন্য দিশেহারা সাধারণ জনগণ। এ সকল প্রতারকের জন্য যারা সঠিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য, তারা ব্যাহত হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন সহযোগিতা খাত থেকে, পাচ্ছে না সরকারি কোনো সহযোগিতা,তাই যারা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে,তাদের একটাই দাবি সরকারের কাছে। সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত এই সব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলো যেন সরকারি তালিকাভুক্ত হয়। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের ভবিষ্যতের দিনগুলো সুন্দর ও সুখময় হয়। তারা যনো কারও বুঝা না হয়ে থাকতে হয়। সে লক্ষে তাহাজ উদ্দিন স্মৃতি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
Discussion about this post