আমিনুর রহমান ,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
নানান খালখন্দে ভরে গেছে লালমনিরহাট বুড়িমারী স্থলবন্দরের হাতীবান্ধা উপজেলার জাতীয় মহাসড়কটি। সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন না করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে হাতীবান্ধা বন্দরের সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, বড়খাতা বাসষ্টান্ড থেকে দোয়ানীর মোড়, হাতীবান্ধা অডিটরিয়াম থেকে আমতলা, কলেজগেট থেকে ডিএস ফিলিং ষ্টেশন এবং পারুলিয়া বাজারের দক্ষিন দিকে স্কুলের সামনে ইট বসানো মহাসড়কের বেহাল দশা। এই মহাসড়কটি ছোট-বড় খালখন্দে ভরা, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা।
হাতীবান্ধার সোনালী ব্যাংকের সামনে ইট বসানো মহাসড়কটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। প্রায় ৫০০ মিঃ রাস্তা খালখন্দে ভরে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় রাস্তা, জমে থাকে পানি। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন এবং গাড়ি চালকরা বলেন, হাতীবান্ধা মহাসড়কটি দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকি পূর্ণ এমনকি সাধারন জনগণও চলাচল করতে পারতেছে না।
অটো-বাইক চালকরা বলেন,৷ সোনালী ব্যাংকের সামনে দিয়ে যাত্রীদের নিয়ে অনেক আতংকে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টি হলে হাটু পানি জমে থাকে ফলে দুর্ঘটনা ঘটতেছ।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, হাতীবান্ধার মহাসড়কটির অবস্থা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদের অধিদপ্তরের সাথে আলোচনা করে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, উন্নত মানের সড়ক নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। দ্রুত কাজগুলো শুরু করার জন্য অফিসিয়ালি চিঠি দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
Discussion about this post