দেলোয়ার হোসেন রাজিব,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭ই মার্চের উপর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল বাঙালির মুক্তির মহামন্ত্র । এই ভাষণ বাঙালিদের মনে স্বাধীনতার ক্ষুধা নতুন করে জন্ম দেয় । সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলার শিকারিকান্দায় অবস্থিত যুব প্রশিক্ষণর কেন্দ্রে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । এতে সভাপতিত্ব করেন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ময়মনসিংহের কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ মতিউর রহমান । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের ডেপুটি কো- অর্ডিনেটর মোঃবদরুদ্দোজাহান । ৭ই মার্চের উপর আলোচনা করেন সিনিয়র প্রশিক্ষক রুকন উদ্দিন,অনঙ্গ মোহন, প্রদর্শক মোঃ ইসরাফিল । এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১০৩ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী মাহফুজ আলম,আল আমিন,মাসুদ রানা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র প্রশিক্ষক সাদিয়া আফরিন ।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন,৭ মার্চ, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় যে কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তা আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে । ১৭ মার্চ ১৯২০ মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন । ২৬ মার্চ ১৯৭১ তিনি বাঙালির স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে মার্চ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম । ১৭ মার্চ প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশের জন্মদিন । কেননা ঐ দিন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন হতো না । ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ঐ ভাষণ ছিল এমন একটি ঐতিহাসিক ভাষণ, একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করার দিকনির্দেশনা ও অপর দিকে ৪টি শর্ত আরোপ করে নিজে ও বাঙালিদের পাকিস্তান ভাঙার দায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ।
Discussion about this post