মোঃ মনজুরুল ইসলাম মিলন,রংপুর প্রতিনিধিঃ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড.নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ’র উপস্থিতি নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড। হাজিরা খাতা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা- কর্মচারিদের বৃহৎ সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ । যা দেখে অনেকের চোখ কপালে উঠেযেতে পারে । সেই সাথে সাথে গনমাধ্যমে শিক্ষকের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বারবার। দেখা যায় উপাচার্য তার চার বছরের পূর্ণ মেয়াদে ১৪৪৭ দিনের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন মাত্র ২৪০ দিন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে ও শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে ২ টি বৃহৎ আকৃতির হাজিরা খাতা ঝুলিয়ে দেয়া হয় । উপাচার্য অধ্যাপক ড নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর নিয়োগ হয় ২০১৭ সালের ১লা জুন এবং তার মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২১ সালের ৩১শে মে। কিন্তু চার বছরে উপাচার্য ১৪৪৭ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্তিত ছিলেন মাত্র ২৪০ দিন। আর অনুপস্থিত ছিলেন ১২০৭ দিন।
অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড: মতিউর রহমান বলেন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ তার চার বছরের মেয়াদে ১৪৪৭ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে উপস্তিত ছিলেন মাত্র ২৪০ দিন। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এবং তার দায়িত্ববোধ নিয়েও শুরু হয় নানা সমালোচনা । হাজিরা খাতার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে তার অনিয়মের নমুনা দেখানো হয়েছে । রাষ্ট্র সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজো অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে অথচ তিনি তা উপেক্ষা করে ঢাকার লিয়াজো অফিস খোলা রেখে এখনো দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন উপাচার্য ড নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তারই চিত্র এটি। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা কে ।
শুধু উপাচার্য ড নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ নয় তার সাথে থেকে সঙ্গবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংসে সহযোগীতা করেছে যারা তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।
Discussion about this post